গত কয়েক বছর ধরেই বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক রিটার্ন দিচ্ছে এইচডিএফসি। মাত্র ১ লাখ টাকারও কম বিনিয়োগ করে কোটিপতি হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এমনই কামাল দেখিয়েছে এই স্টক। পরিসংখ্যানে চোখ বোলালে দেখা যাচ্ছে, এইচডিএফসি-তে বিনিয়োগ করে গত ২৩ বছরে বিনিয়োগকারীদের সম্পদ বেড়েছে ২৫৯ গুণ। যা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এইচডিএফসি-র শেয়ার গতকাল গতকাল এনএসই-তে অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর ১,৪২৯.৮০ টাকায় বন্ধ হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরনো স্কিমের চেয়ে নতুন পেনশন স্কিম ভাল! তবু কর্মীরা কেন ওপিএসের পক্ষে!
এইচডিএফসি-র শেয়ার ৫২ সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৭২৫ টাকায় রয়েছে: ৫২ সপ্তাহে অর্থাৎ গত এক বছরে এইচডিএফসি-র শেয়ার সর্বোচ্চ ১৭২৫ টাকায় রয়েছে। একই সময় গত বছরের ১৮ অক্টোবর এই স্টক ছিল সে বছরের ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ। উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে এইচডিএফসি-র শেয়ারের দাম ছিল ৫.৫২ টাকা। যা গত ২৩ বছরে ২৫৮০২ শতাংশ বেড়ে ১৪২৯.৮০ টাকায় পৌঁছেছে।
২৩ বছরে ৪০ হাজার টাকা পৌঁছেছে ১ কোটিতে: হ্যাঁ, বিনিয়োগকারীদের মালামাল করেছে এই স্টক। মাত্র কয়েক হাজার টাকাই পৌঁছে গিয়েছে কোটিতে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৩ বছর আগে কোনও বিনিয়োগকারী যদি এইচডিএফসি-র শেয়ারে ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতেন তাহলে আজ তিনি ১.০৩ কোটি টাকার মালিক হতেন। অর্থাৎ ২৫৮০২ শতাংশ রিটার্ন। বিনিয়োগকারীদের এভাবেই বড়লোক করে দিয়েছে এই ব্যাঙ্ক। যাকে এককথায় অবিশ্বাস্য বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: এই স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক FD এবং RD-তে সুদের হার বাড়িয়েছে
অন্য দিকে, কোম্পানির সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বিচার করলে দেখা যাচ্ছে, এ বছর এইচডিএফসি-র স্টক ৫.৯১ শতাংশ পড়েছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারেজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ এখনও সিএলএসএ এতে বিনিয়োগের পরামর্শ দিচ্ছে। বলে রাখা ভাল, সিএলএসএ এইচডিএফসি-র শেয়ারে ২০২৫ টাকার টার্গেট মূল্য-সহ স্টকটিকে বাই রেটিং দিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ার ফের চাঙ্গা হবে, এমনই আশা করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, শক্তিশালী খুচরো গতিও অব্যাহত থাকবে।