দেড় বছরের ব্যবসা। মাত্রই কয়েকদিনেই দাঁড়িয়ে গেছে। বাঁকুড়া জঙ্গলমহলের বহু যুবক উৎসাহিত হচ্ছেন এই ফার্মিংয়ের বিজনেসে। দিন দিন বাড়ছে মাংসের চাহিদা। মুখ্য প্রোটিন সোর্স হিসেবে মুরগির মাংস কিংবা টার্কির মাংস মানুষের প্রিয় হয়ে উঠছে। তার সঙ্গে প্রিয় হচ্ছে বাঁকুড়া পুরুলিয়ার দেশি মুরগি। সেই কারণে প্রচণ্ড চাহিদা বেড়েছে। আবার শীত পড়লে এই বিজনেস ফুলে ফেঁপে ওঠে। পিকনিক, মেলা বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সবকিছুতেই কমন হয়ে ওঠে মুরগির মাংস।

advertisement

আরও পড়ুন: জাল ফেলে সহজেই ধরা যায় মাছ, হিমশিম খেতে হয় কাঁকড়ায়! পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগে বেশ কয়েক ঘণ্টা

বেশ কিছুটা জায়গা ফাঁকা পড়েছিল, সেই জায়গা টিনের সেড দিয়ে, জল আর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দুইজন স্টাফ রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শুভ দাস। খাতড়া সিমলাপাল রোডের উপরে বরধিষ্ণু গ্রাম দহলা। সেখানকার যুবক শুভ ডিপ্লোমা করে চাকরির বহু খোঁজাখুঁজি করলেও, মনের মতো চাকরি পাননি। আর পেলেও মাইনে ছিল খুবই কম। সে কারণে দাসত্ব নয়, নিজের ছোট্ট সাম্রাজ্যের সম্রাট হতে চেয়েছিলেন তিনি। একটি ইলেকট্রনিক্সের হোলসেল ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে সেটার পাশাপাশি করছেন পশু এবং পক্ষী প্রতিপালন।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। মুদ্রাস্ফীতি হলেও চাপে পড়ে জিনিস কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেই কারণে এক বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে ভারতবর্ষে। গ্রামে পৌঁছেছে প্রযুক্তি, ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোন। যার দরুণ বেড়েছে ব্যবসার সম্ভাবনা। একটু সাহস করে এগিয়ে এসে শুরু করে প্রাথমিক ধাক্কা সামালেই অনেকেই পাচ্ছেন আর্থিক স্বাধীনতা। বাঁকুড়ার গ্রামের ছেলে শুভ তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

advertisement