জানা গিয়েছে, চলতি ডিসেম্বর মাসে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এখন গ্রাহক এবং ব্যাঙ্ক কর্মীদের মনে একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, তাহলে কী চলতি মাস থেকেই ব্যাঙ্কগুলিতে সপ্তাহে ৫ দিন কাজ শুরু হবে?
আরও পড়ুন: প্রভিডেন্ট ফান্ডের নিয়মে বড়সড় বদল, PF ক্লেমের ক্ষেত্রে মিলবে বিশেষ সুবিধা, কারা পাবেন দেখুন
advertisement
বর্তমানে দেশের সমস্ত ব্যাঙ্কে রবিবার এবং মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার ছুটি থাকে। অর্থাৎ ব্যাঙ্ক কর্মীরা এক শনিবার কাজ করেন, পরের শনিবার ছুটি পান। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্মী এবং ইউনিয়নগুলি অনেক দিন ধরেই সপ্তাহে ৫ দিন কাজের দাবি জানিয়ে আসছে। অর্থাৎ সোম থেকে শুক্রবার ব্যাঙ্কে কাজ হবে, আর শনি ও রবিবার ছুটি থাকবে। ফলে ব্যাঙ্ক কর্মীরা প্রতি মাসে ৬ দিনের বদলে ৮ দিন ছুটি পাবেন। ব্যাঙ্ক কর্মচারি ইউনিয়ন এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনও এই বিষয়ে একমত।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার যদি এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় তাহলে কর্মীদের প্রতিদিন ৪০ মিনিট বাড়তি কাজ করতে হবে। অর্থাৎ ব্র্যাঞ্চ সকাল ৯.৪৫ মিনিট থেকে বিকাল ৫.৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে। বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যাঙ্কই সকাল ১০টায় খোলে। বিকাল ৪টে পর্যন্ত পাবলিক ডিলিং চলে। ইউনিয়নগুলির দাবি, সপ্তাহে ৫ দিন কাজের নিয়ম চালু হলেও কাস্টমার সার্ভিসে কোনও প্রভাব পড়বে না।
আরও পড়ুন: FD থেকে ৩ গুণ রিটার্ন! ৫ লাখ টাকা এভাবে বিনিয়োগ করুন, ১৫ লাখ টাকা পাবেন !
২০২৪ সালের মার্চ মাসে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন এবং ব্যাঙ্ক কর্মচারী ইউনিয়নগুলির মধ্যে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। তাতে সপ্তাহে ৫ দিন কাজের প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখন শুধু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অর্থ মন্ত্রকের সীলমোহর দেওয়াটুকুই বাকি।
তবে বাড়তি দু’দিন ছুটি ডিসেম্বর থেকে মেলা কঠিন বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তারা। সপ্তাহে ৫ দিন কাজ এখনই চালু হচ্ছে না। এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অল ইন্ডিয়া অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনও। অবিলম্বে দাবি না মানলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। এআইবিওসি-এর মহাসচিব রূপম রায় জানিয়েছেন, সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি।
তিনি বলেন, সমস্ত সহযোগী ইউনিয়ন এবং ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নসকে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কেও এই প্রস্তাব অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। ইউনিয়নের মতে, শুধু কর্মচারীদের জন্য নয়, ব্যাঙ্কিং সেক্টরের মানোন্নয়নের জন্যও এই নিয়ম লাগু করা উচিত।