বন্ধন ব্যাঙ্ক (Bandhan Bank)-এর সপ্তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে ‘বিল্ড ব্যাক বেটার – দ্য রোল অফ ফিনান্স’-এর উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রণব সেন জানান যে, ভারতে এমএসএমই (MSME) সেক্টরকে আবার তৈরি করতে হবে। তবে এর আগে যা ছিল, তার তুলনায় আরও ভাল ভাবে বানাতে হবে। তিনি আরও বলেন যে, “কর্পোরেট সেক্টরের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত ছিল। তবে নন-কর্পোরেট সেক্টরের পারফরম্যান্স তেমন ভাল তো ছিলই না। বলা ভাল, ওই সেক্টর পুরোপুরি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
advertisement
এমনকী, ডঃ প্রণব সেন এই প্রসঙ্গে উদাহরণও তুলে ধরেন। সাম্প্রতিক অতীতে দেশের এমএসএমই সেক্টরে ক্ষতি হয়েছে। ফলে মার্কেট শেয়ারের একটা বড় অংশ চলে যায় কর্পোরেট ইন্ডিয়ার হাতে। যার জেরে কর্পোরেটের মূল্যের ক্ষমতা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়ে গিয়েছে।
এমএসএমই-কে আরও ভাল ভাবে গড়ে তোলার প্রসঙ্গে প্রণব সেন বলেন যে, “ব্যাঙ্কগুলি কিছু এমএসএমই-কে টাকা ধার দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তবে বেশির ক্ষেত্রে অবশ্য সেটা হয়নি। এমনকী আগেও এই সমস্যাটা ছিলই। কিন্তু আগে ছিল এনবিএফসি (NBFC)। যারা এসে ওই ফাঁকা স্থানটা পূরণ করে দিত। আর আজ এনবিএফসি-ও কিন্তু এমএসএমই-এর মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।” তাঁর মতে, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একটা ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসি-র সম্পর্ক শুধুমাত্র ঋণগ্রহীতা এবং ঋণদাতা নয়, বরং উভয়কে আজ একে অপরের পাশে সঙ্গীর মতো থাকতে হবে। প্রণব সেন আরও বলেন যে, “যদি আমরা এই সেক্টরকে ফের ভাল ভাবে গড়ে তুলতে চাই, তা-হলে দেশের ফিনান্সিয়াল সেক্টরের কাঠামোকে আবার পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। না-হলে আমাদের এমএসএমই সেক্টর কখনওই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।”
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ হাইকোর্টের
ওই অনুষ্ঠানে বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা, এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ (Chandra Shekhar Ghosh) বলেন যে, “বন্ধন ব্যাঙ্ক ছিল ইমপ্যাক্ট অর্গানাইজেশন। ২০১৫ সালে যখন আমাদের এই ব্যাঙ্কটি তৈরি হয়, তখন এখানকার কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ হাজার। আর আজ এখানকার কর্মীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে হয়েছে ৬৩ হাজারেরও বেশি। আসলে এটাই সরাসরি প্রভাব, যা আমরা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। এমনকী, আমাদের এখন ১.৮০ কোটির বেশি মাইক্রোক্রেডিট গ্রাহক রয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন যে, “বন্ধন ব্যাঙ্ক আনুপাতিক হারে আরও প্রশস্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছে। এই অর্থবর্ষে আমরা আরও ৫৫১টি ব্যাঙ্কিং আউটলেট খুলব। ফলে মোট আউটলেটের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। আর এর বেশির ভাগই হবে পূর্ব ভারতের বাইরে। যেখানে ইতিমধ্যেই আমরা দুর্দান্ত ভাবে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছি।”