ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের মোট আয় বেড়ে ৫,২১০ কোটি টাকা হয়েছে। গত বছর এই সময়ে তাদের মোট আয় ছিল ৪,৮৪০.৯৪ কোটি টাকা। রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে এ কথা জানিয়েছে বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৩,৮০৮ কোটি টাকার তুলনায় সুদের আয়ও বেড়ে ৪,৬৬৫ কোটি টাকা হয়েছে।
advertisement
নেট সুদের আয় গত এবছর এই সময় ২,০৮০ টাকা ছিল। এ বছর তা বেড়ে ২,৫৩০ কোটি টাকা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বন্ধন ব্যাঙ্কের গ্রস এনপিএ (নন পারফর্মিং অ্যাসেটস)-তেও উন্নতি হয়েছে। আগের অর্থবর্ষে অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ৭.২ শতাংশ ছিল। এবার তা ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে নেট এনপিএ আগের বছরের ১.৯ শতাংশের তুলনায় ২.২ শতাংশ বেড়েছে। তাছাড়া পর্যাপ্ত মূলধন অনুপাত ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ১৯.১০ শতাংশের তুলনায় ১৭.৮৬ শতাংশে নেমে এসছে।
বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেছেন, ‘‘তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষে শতাংশের হিসেবে ব্যাঙ্কের সুরক্ষিত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪.৫ শতাংশ। ২০২৫-২৬-এর মধ্যে এটাকে ৫০ শতাংশে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কঠিন পরিস্থিতিতেও ব্যাঙ্কের হাতে পর্যাপ্ত লিক্যুইডিটি রয়েছে। কারণ অগ্রিমের তুলনায় আমানতের পরিমাণ বেশি।’’
তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের অপারেটিং প্রফিট আগের বছরের ১৯২০ কোটি টাকার তুলনায় কমে ১৬৬০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এই পতন গত অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৪১০ কোটি টাকার এনপিএ বিক্রির কারণে যা লাভের সঙ্গে যোগ করা হয়। এই নন রেকারিং আইটেম বর্তমান ত্রৈমাসিকে নেই বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক। চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কিং ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। আমরা আশা করি বৃদ্ধির এই গতি অব্যাহত থাকবে।’’
তৃতীয় প্রান্তিকের শেষে নেট সুদের মার্জিন দাঁড়িয়েছে ৭.২ শতাংশ। চন্দ্রশেখরের কথায়, ‘‘চলতি আর্থিক বছরের শেষে এনআইএম ৭ থেকে ৭.৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে চাই।’’ জিএনপিএ-ও সাত শতাংশ হয়েছে। মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৯.৮ শতাংশ।