উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে জিএসটি আদায়ের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। মার্চ মাসে ১.৪২ লক্ষ কোটি টাকা আদায় হয়েছিল, যা রেকর্ড। তার এক মাস আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে জিএসটি আদায়ের পরিমাণ বেড়েছিল ৬.৮ শতাংশ। তবে জিএসটি আদায়ের দ্বিতীয় বড় রেকর্ডটি হয় করোনা চলাকালীন ২০২১ সালের এপ্রিলে। সেবার মোট ১.৪১ লক্ষ কোটি টাকা আদায় হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন-আজ থেকেই হাওয়া বদল, দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস কবে? জেনে নিন
গত অর্থবর্ষে জিএসটি আদায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে: ২০২১-২২ আর্থিক বছরে মোট জিএসটি সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৪.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। করোনা অতিমারীর জেরে তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে খুব কম জিএসটি আদায় হয়েছিল। মাত্র ১১.৩৭ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে পেরেছিল সরকার। জিএসটি আদায় বৃদ্ধির জন্য কর ফাঁকি রুখতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শুল্ক কাঠামোর সংস্কারকেই দায়ী করেছে অর্থ মন্ত্রক।
টানা দশম মাসে ১ লাখ কোটির বেশি আদায়: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রকের একটি সূত্র বলছে, এপ্রিল মাসে জিএসটি আদায় এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তেমনটা ঘটলে টানা দশম মাসে জিএসটি সংগ্রহ ১ লাখ কোটি টাকার বেশি হবে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জুলাই মাসে ১,১৬, ৩৯৩ কোটি টাকার জিএসটি সংগ্রহ হয়েছিল। তারপর থেকে আর ১ লাখ টাকার নিচে আদায় হয়নি। তবে মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। তারপর ২০২১ সালের জুন মাসে জিএসটি আদায় ৯২,৮০০ কোটি টাকায় নেমে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন- প্রচন্ড গরমেও চলছে না অ্যাপ ক্যাবে এসি, যাত্রীদের ভুরি ভুরি অভিযোগ!
দর কমানোর কথা ভাবছে অর্থ মন্ত্রক: এই ক্রমাগত বৃদ্ধির মধ্যে, জিএসটি-হার কমানোর কথা ভাবছে অর্থ মন্ত্রক। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের (Basavaraj Bommai) নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রীদের একটি দল অর্থ মন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া রিপোর্টে জিএসটি-র হার কমানোর সুপারিশ করেছে। মনে করা হচ্ছে আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জিএসটির বর্তমান হার কমানোর সম্ভাবনা প্রবল।