আসলে ব্যাঙ্কে গিয়ে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কারণ ২০০০ টাকার নোটের জন্য ব্যাঙ্ক কর্মীরা গ্রাহকদের থেকে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড চাইছেন। ফলে মানুষ এখন ব্যাঙ্কে না গিয়ে দোকান থেকে কিছু কিনে ২০০০ টাকার নোট চালাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু সেখানেও বিধি বাম! ছোট দোকানদারেরা ওই বড় নোট নিতে চাইছেন না। ফলে চরম ভোগান্তির মুখে সাধারণ মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: ২০০০ টাকার নোট দিলে নিতেই হবে ১৫০০ টাকার তেল! পেট্রোল পাম্পের ‘জালিয়াতি’ নিয়ে সরব সাধারণ মানুষ!
ফলে ওই টাকা জমা করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছে তারা। ২০০০ টাকার নোট তাই সাধারণ মানুষ এখন পেট্রোল পাম্প এবং গয়নার দোকানে চালানোর চেষ্টা করছে। তারা ১০০-২০০ টাকার তেল কিনলেও ২০০০ টাকার নোট ভাঙাতে দিচ্ছে। এবার এত কম টাকার তেলের জন্য ওই বড় নোট নিতে অস্বীকার করছেন পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: NSC-তে বিনিয়োগ করেই হতে পারেন কোটিপতি, জেনে নিন কীভাবে!
উত্তরপ্রদেশের মালব্য রোডের এইচপি পেট্রোল পাম্পের সেলসম্যান রমেশ কুমার জানিয়েছেন যে, “গ্রাহকরা ১০০-২০০ টাকার জ্বালানি কেনার পরেও ২০০০ টাকার নোট দিচ্ছেন। যদিও আমরা সকলের কাছ থেকেই ২০০০ টাকার নোট গ্রহণ করছি।” অন্য দিকে আবার শহরের বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী রাম কুমারেরও বক্তব্য, যখন ২০০০ টাকার নোট সংক্রান্ত আরবিআই-এর নির্দেশিকা এসেছে, সেই সময় থেকে গ্রাহকরা সোনার চেন, আংটি, ব্রেসলেট, চুড়ি-সহ নানা রকম গয়না কেনার জন্য ২০০০ টাকার নোট দিচ্ছেন।
এসবিআই-এর ম্যানেজার মনোজ কুমার জানিয়েছেন, নোট বদল করার জন্য এখনও অনেকটা সময় রয়েছে। আর ২০০০ টাকার নোটও বাজারে তেমন চালু নেই। তাই সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ধীরেসুস্থে ব্যাঙ্কে গিয়ে ওই নোট সহজেই জমা করে কিংবা বদলে নিতে পারবেন।