শুধু গরমেই নয়, সারা বছর জেলায় আম চাষ করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন তিনি। আজ তাঁর সাফল্যের গল্পই শুনে নেওয়া যাক। প্রায় ১০০ প্রজাতির আম উৎপাদন হয় বলে দাবি রাম উদগারের। ওই কৃষক জানান যে, একটা আম গাছ লাগানোর দুই বছর পর থেকে তাতে ফল ধরতে শুরু করে। এর পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানপালন মিশনের মাধ্যমে কৃষকেরা আম বাগান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এটিকে আয়ের উৎস হিসাবে তৈরি করতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখতেই হবে! রইল বিলাসিতা না ছেড়েই সহজে অর্থ সঞ্চয় করার কিছু টিপস!
একটি গাছেই ১০ প্রজাতির আম:
কৃষক রাম উদগার সাব বলেন যে, “বিগত ১০ বছর ধরে বরকত নার্সারি চালাচ্ছি। আর এখান থেকেই আমার মাথায় আমের বাগান করার ভাবনা আসে। নার্সারি চালানোর পাশাপাশি একটি আমের বাগানও তৈরি করি আমি। ৮ বছর আগে পর্যন্ত এই বাগানে ৪৫টি আম গাছ ছিল। বর্তমানে এখানে বিভিন্ন প্রজাতির ১২০টি আম গাছ রয়েছে।”
তিনি আরও জানান যে, শুকুল আম গাছে ১০ জাতের আম ফলে। একটি আমের গাছ থেকে প্রায় ২৫ কেজি করে আম পাওয়া যায়। শুকুল, বম্বাইয়া, সফেদ মালদহ, কৃষ্ণভোগ-সহ মোট ১০টি জাতের আম চাষ হচ্ছে। এই সব গাছের বয়স ৫ বছর। ওই বাগানে শুকুল ছাড়াও আরও ৭টি গাছ থেকে বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদন হচ্ছে।
সারা বছরই মেলে আম:
বিশাল জায়গা জুড়ে বিস্তৃত বরকত নার্সারিতে ডেনমার্ক এবং অলটাইম প্রজাতির আম মে, জুন এবং জুলাই মাসে পাকতে শুরু করে। শতাধিক জাতের আমের গাছ রয়েছে, ফলে ফলনও হয় দেদার। অন্য দিকে রাম উদগারের বাগানে উৎপাদিত আম বিহারের বিভিন্ন জেলার বাজারে পাঠানো হয়। ওই কৃষকের বক্তব্য, “এই বাগান থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করি। বরকত নার্সারিতেও কাজের জন্য রাখা হয়েছে দু’জনকে। প্রতি মাসে যথাযথ বেতনও দেওয়া হয় তাঁদের।”
