রিসার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, CBDC অর্থাৎ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল একটি লিগাল টেন্ডার কারেন্সি, টাকায় যা ইস্যু করা হবে। CBDC তে ভারতীয় টাকা ও ডিজিটাল টাকার কোনও ফারাক নেই। ব্লকচেন সাপোর্টেড ওয়ালেট-এর মাধ্যমে CBDC-র লেনদেন সম্ভব।
আপাতত দেশের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় ডিজিটাল রুপি পাওয়া যাবে। এসবিআই, আইসিআইসিআই বাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, পি আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক ডিজিটাল রুপির পরীক্ষামূলক ব্যহারে অংশ নেবে। এই পরীক্ষা হবে দিল্লি, মুম্বই, ব্যাঙ্গালুরু ও ভূবনেশ্বরে। ডিজিটাল ওয়ালেট-এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন করতে পারবেন। বর্তমানে নোট বা কয়েন যেভাবে কাজ করে সেভাবেই এই ডিজিটাল কারেন্সি কাজ করবে। ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে এটি লেনদেন করা যাবে। জমা রাখা যাবে মোবাইলের ওয়ালেটেও। একজন অন্যজনকে এই ডিজিটাল টাকা পাঠাতে পারবেন।
advertisement
এবার প্রশ্ন হল, ডিজিটাল মুদ্রায় কি ইন্টারেস্ট মিলবে? উত্তর হল না! কিন্তু ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ করলে ইন্টারেস্ট মিলবে। ব্যাঙ্কগুলিকে আরবিআই রিটেল ডিজিটাল রুপি টোকেন হিসেবে ইশ্যু করবে।
ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে কেনাকাটা করা যাবে কিউআর কোড-এর মাধ্যমে।
কতটা নিরাপদ এই ডিজিটাল মুদ্রা? জানা যাচ্ছে, যদি ব্যাঙ্কগুলিকে ডিজিটাল মুদ্রা আরবিআই দেয়, তাহলে সেটি হবে লিগ্যাল টেন্ডার। এমনি টাকার চেয়ে এটি অনেক বেশি সুরক্ষিত।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, ডিজিটাল মুদ্রা কি ক্রিপ্টোকারেন্সির মত? উত্তর হল একেবারেই না। ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য সবসময় উঠানামা করে। কিন্তু ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে সে'রকম কিছু হবে না।