মুম্বই টেক উইক ২০২৫-এ ড্রিম স্পোর্টসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হর্ষ জৈনের সঙ্গে এক আলোচনায় আম্বানি বলেন, “আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে আমি একটি ঘনিষ্ঠ পারিবারিক পরিবেশে বড় হয়েছি।”
advertisement
তিনি আরও বলেন, “ইশা ও আমি একসঙ্গে পৃথিবীতে এসেছি, এবং তখন থেকেই আমরা খুব ঘনিষ্ঠ। আমাদের পরিবার সবসময় একসঙ্গে থেকেছে। আমাদের কাছে কাজ কখনও ভারসাম্য রাখার বিষয় ছিল না, বরং এটি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। আমরা ছোটবেলা থেকে দেখেছি, বাবা-মা কেবল পরিবার ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখেননি, বরং দুটোকেই জীবনের প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এটি আমরা নিজেদের জীবনেও অনুসরণ করেছি।”
আকাশ আরও বলেন, “পরিবার ও কাজ – দুটিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। আমি মনে করি, আমাদের সবার জীবনের অগ্রাধিকার ঠিক করা উচিত এবং তা আমাদের স্বপ্নের জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া দরকার।”
যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করতে পছন্দ করবেন নাকি বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, তখন আম্বানি বলেন, “এটি সত্যিই কঠিন প্রশ্ন। আমি সাধারণত দিনে ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ করি। তবে এখন আমার বাড়িতে দুটি সুন্দর সন্তান রয়েছে, যারা আমাকে বাড়ির দিকে টানে। আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে আমার স্ত্রী শ্লোকা আমার কাজের সময় বুঝতে পারে। তবে, আমি সময় বা ঘণ্টার হিসাবে কাজকে দেখি না, বরং দৈনন্দিন কাজের গুণমানের দিকেই মনোযোগ দিই।”
আরও পড়ুন: ১ লাখ টাকার বোনাস থেকে ২.৭৭ কোটির কর্পাস! দশ বছর বিনিয়োগেই নিশ্চিত সোনালি ভবিষ্যৎ
রিলায়েন্সের মূলমন্ত্র “বৃদ্ধিই জীবন” শুধু ব্যবসায় নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। আম্বানি বলেন, “প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে হবে, নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে এবং সেখান থেকে উন্নতি করতে হবে।”
আলোচনার শেষে, হর্ষ জৈন মজার একটি প্রশ্ন করেন— “আপনি কী বেছে নেবেন? শ্লোকার সঙ্গে ডেট নাইট নাকি বন্ধুদের সঙ্গে গেমিং নাইট?”
আকাশ কৌশলী উত্তর দিয়ে বলেন, “স্বপ্ন হল শ্লোকার সঙ্গে গেমিং নাইট করা!”