Akasa Air-এ MAX এয়ারক্রাফট স্ট্যান্ডার্ড বোয়িং স্কাই ইন্টেরিয়র এবং এলইডি লাইটিংয়ের মতো নানান ফিচার রয়েছে। এয়ারলাইনের প্রথম ১৯টি বিমানের প্রতিটিতে যাত্রীদের জন্য ১৮৯টি আসন থাকবে যা IndiGo-এর A320neo-এর থেকে তিনটি আসন বেশি।
এই দুই এয়ারলাইনের সর্বপ্রথম পার্থক্য যেটা চোখে পড়ে তা হল, Akasa Air-এর বিমানে প্রতিটি আসনের জন্য একটি করে USB পোর্ট থাকছে। যদিও এয়ারলাইন ইনফ্লাইট ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধে থাকছে না। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, ভিস্তারা এবং স্পাইসজেটের মতো শীঘ্রই তারা স্ট্রিমিং পরিষেবা শুরু করার লক্ষ্যে রয়েছেন। যদিও IndiGo-র জানুয়ারী ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া নতুন সিটে USB পোর্টের কোনও কথা উল্লেখ করা নেই।
advertisement
এ বার আসা যাক, খাবারের কথায়। ভারতের প্রতিটি এয়ারলাইনকে যাত্রীদের খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়। ভিস্তারার বিস্তৃত গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতীয়রা দুর্দান্ত ইনফ্লাইট খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হন। আকাসা এয়ারলাইনে ইনফ্লাইট ক্যাটারিং পরিষেবা দিতে উপস্থিত থাকছে ‘ক্যাফে আকাসা’ (Café Akasa)। মেনুতে স্যান্ডউইচ, ক্রসাঁ, টার্টস, রোল এবং বার্গার প্রভৃতি লোভনীয় খাবার থাকতে পারে। তবে যাত্রীরা প্রি-বুকিংয়ের মাধ্যমে খাবার পাবেন। মিষ্টি বা ডেজার্টের মধ্যে রয়েছে রসমালাই, চিজকেক, চকোলেট ট্রাফল এবং বেকড ইয়োগার্ট-সহ আরও অনেক কিছু। এগুলিও শুধুমাত্র প্রি-বুকিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
তবে অদ্ভুত বিষয় হল এয়ারলাইন্সের প্রি-বুক করা খাবারের মূল্য বোর্ডের চেয়ে বেশি। সাধারণ প্রি-বুক করা হলে খানিকটা ছাড় দেয় অন্য এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ।
যাত্রীদের জন্য সাধারণ ঘরোয়া খাবারেরও নানা পদও থাকছে। তালিকায় রয়েছে উপমা, পোহা, পাস্তা এবং বিরিয়ানি। রয়েছে বাদাম, ভেল, পপকর্নের মতো স্ন্যাকসের নানান সম্ভার। অন্যদিকে IndiGo যাত্রীদের আরও আনন্দদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা উপহার দিতে তাদের তালিকায় ২২টি নতুন পদ যুক্ত করেছে। বার্গার এবং সিঙ্গাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ওটসের মতো আরও নানান খাবারের বিকল্প রয়েছে যাত্রীদের জন্য।
আরও পড়ুন- বড়লোক হতে চাইছেন? মানি ম্যানিফেস্টেশনের ৩৬৯ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে দেখবেন না কি
একাধিক বাজারে IndiGo বিনিয়োগের কারণে এতদিন IndiGo একাই ভারতের বাজারে এক চেটিয়া ব্যবসা করে গিয়েছে তবে এবারে Akasa Air-এর আগমনে এই দুই এয়ারলাইনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।