মসজিদ কমিটির সদস্যরা জানান, বছর দুই আগে স্থানীয় এক যুবক সৈয়দ নিজামুদ্দিন ওরফে সোনা এই গাছের চারা এনে মসজিদে লাগিয়েছিলেন৷ কিছু কাল পরেই তিনি প্রয়াত হন৷ তাঁর লাগানো গাছে এবছর ফলন হয়৷ আর পাঁচটি আমের থেকে ভিন্ন দেখতে। তাই সকলের নজরে আসে৷ ১০ থেকে ১২ টি আম ধরেছে সাড়ে সাত থেকে ৮ ফুট উচ্চতার গাছটিতে৷ মসজিদের লোকজন জানতে পারেন এই আমের মূল্য, গুণগত মান, দুষ্প্রাপ্যতার কথা৷
advertisement
আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্বের দামি আম দেখতে মসজিদে ভিড় জমাতে থাকেন মানুষজন। মোবাইলের লেন্স বন্দি করেছেন আমগুলি৷
জানা গিয়েছে, জাপানের মিয়াজাকি শহরকে ফলের রাজা বলা হয়৷ এই শহরে একটি বিশেষ আমের ফলন হয়৷ অনেকটা আপেলের মত দেখতে এই এক একটি আম ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের হয়৷ শহরের নামানুসারে এই আমের নাম ‘মিয়াজাকি’।
আরও পড়ুন: জল আছে! শালুক, পদ্মও ফুটেছে! পুকুর কিন্তু পুকুর নয়! বিষয়টা কী? ভাইরাল ভিডিও
মসৃণ ত্বক ও লাল রঙের সৌন্দর্য্যের জন্য সূর্যদয়ের দেশে এই আমের অপর একটি নাম ‘সূর্যের ডিম’। আমের আঁটি ছোট হয়, শ্বাস বেশি হয়। সব জলবায়ুতে এই আমের ফলন হয় না৷ দুষ্প্রাপ্য বলে প্রতি কেজি আমের দাম ভারতীয় মুদ্রায় আড়াই থেকে ৩ লক্ষ টাকা৷ জাপান ছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনের কিছু জায়গায় গুটি কতক এই আমের গাছ দেখা যায়৷ বিশ্বে দামি আম গুলির মধ্যে অন্যতম মিয়াজাকি আম৷
Subhadip Pal