পূর্ণিয়ার কৃষক সুরেন্দ্র টুডু জানান, জীবনে প্রথমবারের মতো সীতা ফল বা কুমড়োর এত ওজন ও আকার দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। তাই আর দেরি না করে তিনি দীপু কুমার সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই ধরনের চাষাবাদের কৌশল শিখে নেন।
আরও পড়ুন: এবার ঘরে বসেই কাটুন মেট্রোর টিকিট, দারুণ সুযোগ! আর স্টেশনে লাইন দেবেন কেন?
advertisement
কাটিহার জেলার মনিহারির কৃষক দীপু কুমার সিং নিউজ 18 লোকাল-কে জানিয়েছেন, বিভাগীয় স্তরের কৃষি প্রদর্শনী মেলায় জৈব পণ্যের প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার জন্য উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরপরই ১৮ কেজির সীতা ফল এবং ১৫ কেজির জৈব কুমড়ো নিয়ে তিনি ওই প্রদর্শনীতে পৌঁছলে তাঁর সবজি দেখতে ভিড় জমে যায়।
আরও পড়ুন: দিঘা-কলকাতা সরকারি বাসে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় রক্তাগঙ্গা, শুধুই কান্নার রোল
তিনি জানান, সীতা ফলের ওজন ১৮ কেজি হলেও তার চেয়েও বড় কুমড়ো তিনি উৎপাদন করে থাকেন। যা ২৩ কেজি পর্যন্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, এটি তৈরি করতে ৫ থেকে ৬ মাস সময় লেগেছে। কিন্তু গাছের শুকনো পাতা, ডাল ভেঙে রাখলেও গাছের কোনও ক্ষতি হয়নি। ফলন একই ভাবে বাড়তে থাকে এবং আজ তা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। ওই কৃষকের কথায়, ''আমি অনেক বছর ধরে নিজের অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষ করে আসছি।''
অন্য কৃষকদের উদ্দেশে তিনি বার্তা দেন, ''আপনারা আপনাদের জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করবেন না। আপনি জৈব সার এবং গোবর সারের মিশ্রণ যোগ করে ব্যবহার করতে পারেন। এর থেকেই আপনি এই জাতীয় ফসল উৎপাদন করতে পারবেন। আপনার ফসলের এবং সর্বোপরি আপনার নামও এতে ছড়িয়ে পড়বে। কৃষি বিজ্ঞানীদেরও অনুরোধের সুরে তিনি আর্জি জানান, ''আপনারাও সময়ে সময়ে কৃষকদের যে কোনও কিছুর তথ্য দিন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পঞ্চায়েত স্তর, জেলা স্তর এবং ব্লক স্তরে তথ্য দিতে থাকুন।''
