কীভাবে তা সনাক্ত করে প্রতিরোধ করা যায় তা জেনে নেওয়া যাক কৃষি বিশেষজ্ঞ শঙ্করারাম সিয়াকের কাছ থেকে। শঙ্কররাম বলেন, জমিতে কোনও ধরনের আগাছা থাকা উচিত নয়। পাশাপাশি রোগ পোকার আক্রমণ হলে ফসলের মান কমে যায়, আখেরে ক্ষতি কৃষকের।
রোগ প্রতিরোধের উপায়—
জুলসা রোগ:
এই রোগটি সম্পূর্ণ উদ্ভিদে হয়। এটি প্রতিরোধ করতে কপার অক্সিক্লোরাইড নামক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। ১ গ্রাম ওষুধ এক লিটার জলে মিশিয়ে ফসলে ছিটিয়ে দিতে হবে।
advertisement
উইল্ট/প্যারাউইল্ট:
এই রোগে ফসলের গোড়া পচে যাওয়া, গাছের কালো হয়ে যাওয়া এবং শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। গাছটিকে উপড়ে মাঠের বাইরে ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। প্রয়োজনে কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
লাল পাতার রোগ:
এই রোগে গাছের রঙ সবুজ থেকে লাল হয়ে যায়। ফলে এই রোগ সনাক্ত করা সহজ। আক্রান্ত গাছের পাতা লাল হয়ে ঝরে পড়তে শুরু করে। এর প্রতিকারের জন্য নাইট্রোজেন ও ম্যাগনেসিয়াম স্প্রে করতে হবে।
কোঁকড়া রোগ:
এতে গাছের পাতা উপরের দিকে কুঁকড়ে উঠতে শুরু করে। যার জন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী কৃষি বিশেষজ্ঞকে জানিয়ে ওষুধ স্প্রে করতে হবে।
এছাড়াও তুলায় আরও চার ধরনের রোগ সংক্রমণ হতে পারে পোকার আক্রমণ থেকে। পোকামাকড় গাছে রস শুষে নিলে এই রোগ হয়। যেমন,
সবুজ পোকা:
এই পোকার আক্রমণে গাছের সব পাতা ক্রমশ নিচের দিকে কুঁকড়ে যেতে থাকে।
সাদা মাছি:
অনেক সময় তুলার খেতে সাদা মাছির উৎপাত শুরু হয়। এই মাছি পাতায় সংক্রমণ ছড়ায়। পাতা শুকিয়ে যায়, ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
থ্রিপস:
বিভিন্ন ধরনের পোকার সংক্রমণে এই রোগ হতে পারে। একবার এই রোগ সনাক্ত হলে আর কিছুই করার থাকে না। গাছটি উপড়ে ফেলে দিতে হবে, যাতে অন্য গাছে সংক্রমণ না ছড়ায়।
মেলি বাগ:
জমিতে পিঁপড়ে থেকে মেলি বাগ রোগ হয়। পিঁপড়েরা যখন তাদের ডিম পাড়ে, তখন তারা গাছে রস শুষে নেয়। ফলে গাছে গোড়া কালো হয়ে যায়। ধীরে ধীরে গাছ শুকিয়ে যায়। এই রোগ থেকে বাঁচতে জমিতে যেন পিঁপড়ে না থাকে তা দেখতে হবে। আক্রান্ত গাছ উপড়ে ফেলতে হবে। দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিতে হবে।