কিছু সবজি অবশ্য তাড়াতাড়ি ফলন দেয়। যেমন, কৃষকরা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বেগুন, ঢেঁড়স ও করলার চাষ শুরু করতে পারেন। এই তিনটি সবজিই গ্রীষ্ম ও বর্ষায় কৃষকদের ভাল উৎপাদন দেবে। শুধু তাই নয়, গরমে বাজারে সবুজ শাক-সবজির আনাগোনা কমে যায়। যার কারণে কৃষকরা এর থেকে ভাল দাম পেতে পারেন।
গ্রীষ্মকালে বাজারে সবুজ শাক-সবজি বড় একটা ওঠে না। যার কারণে আকাশছোঁয়া হয় গ্রিন ভেজেটেবলের দাম। অনেক সময় দাম এত বেড়ে যায় যে, সবুজ শাকসবজি মানুষের রান্নাঘরের বাজেট নষ্ট করে দেয়।
advertisement
গ্রীষ্মকালে সবুজ শাকসবজির দাম বৃদ্ধি কৃষকদের জন্য লাভজনক সাব্যস্ত হতে পারে। কৃষকরা এপ্রিল মাসে নির্দিষ্ট কিছু সবুজ শাকসবজি চাষ করলে গ্রীষ্মকালে এবং বিশেষ করে বর্ষায় ভাল আয় করতে পারেন।
জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক ড. পুনিত কুমার পাঠক জানান, কৃষকরা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঢেঁড়স, করলা এবং বেগুন লাগাতে পারেন। এই তিনটি ফসলই কৃষকদের ভাল উৎপাদন দেবে এবং এর থেকে ভাল লাভ করা সম্ভব।
বাজারে সব সময়ই ঢেঁড়সের চাহিদা থাকে এবং চাষিরা ভাল দামও পান, কিন্তু এপ্রিল মাসে ঢেঁড়স ফলানোর সময় কৃষকদের শুধুমাত্র উন্নত মানের বীজ বেছে নেওয়া উচিত। এক একর ঢেঁড়স রোপণ করতে ৫ থেকে ৬ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। কৃষকরা ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ঢেঁড়সের ফলন পেতে শুরু করবেন।
গরমের মরশুমে করলার চাহিদা আরও বেড়ে যায়। কৃষকরা এপ্রিল মাসে করলা রোপণ করলে ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তা বাজারে বিক্রির জন্য তৈরি হয়ে যাবে। করলা চাষের জন্য মাঠ ভালভাবে প্রস্তুত করতে হবে। এর জন্য উন্নত মানের বীজ নির্বাচন করতে হবে। বীজ শোধনের পর করলা বপন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ক্ষেত থেকে যাতে ভাল ভাবে জল নিষ্কাশন হয়, সে জন্য করলা চাষের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ড্রিপ সেচের মাধ্যমে জল দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
কৃষকরা এপ্রিল মাসেও বেগুন চাষ করতে পারেন। কয়েকদিনের মধ্যেই বেগুন ফলে যায়। ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফলন শুরু করে। বেলে দোআঁশ মাটি বেগুন চাষের জন্য উত্তম বলে বিবেচিত হয়।