দীর্ঘদিন তিনি সেই জমিতেই ধান চাষ করছিলেন কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি এই জমিতে আনারস চাষ শুরু করেছে। এবছর তিনি প্রথম অর্গানিক পদ্ধতিতে আনারস চাষ করছেন। অর্গানিক আনারস মানুষ এত পছন্দ করেছেন যে চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।আনারস চাষী উত্তম দে বলেন, “আমি যে চার বিঘা জমিতে বিনা অর্গানিকের চাষ করেছি সেখানে যা ফলন হয়েছে তা আমি ২৭ থেকে ৩০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করতে পেরেছি। আর ঠিক তার পাশাপাশি যেই এক বিঘা জমিতে আমি অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষ করেছি সেই ফসল প্রতি আনারস পতি ৪০ টাকা করে বিক্রি করতে পেরেছি।”
advertisement
যে সমস্ত বিক্রেতারা অর্গানিক আনারস নিয়ে গিয়েছে তারা পুনরায় এই আনারসের চাহিদা করছে। তাদের কথা অনুযায়ী ক্রেতারা একবার এই অর্গানিক আনারস খেয়ে তার বেশি প্রশংসা করছে । উত্তমববুর কথায় এই আনারস অন্য আনারসের তুলনায় অনেক বেশি মিষ্টি যার কারণে ক্রেতারা বারবার এই আনারস চাইছে। যেহেতু এবছর আমি একা এক বিঘা জমিতে এই আনারসের চাষ করেছি সেই কারণে চাহিদা থাকলেও আমি চাহিদা পূরণ করতে পারছি না।
আরও পড়ুন: WB Weekly Weather Update: রবিবার থেকে চালে বদল! মঙ্গলবারে সেরা খেলা, আবহাওয়ার মেগা শো বাংলায়
অন্যদিকে অর্গানিক ফার্মিং বিশেষজ্ঞ আসিস অধিকারী বলেন, “আমরা চাই কৃষকরা ছোট ছোট জমিতে অর্গানিক ফসলের চাষ করুক যাতে তাদের লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। অর্গানিক চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের ফলন পেতে একটু সময় লাগে কিন্তু অর্গানিক জিনিস মানুষের শরীরের কোনরকম ক্ষতি করে না। যার কারণে প্রতিনিয়ত অর্গানিক জিনিসের চাহিদা বাড়ছে।”
অনির্বাণ রায়