আরও পড়ুনঃ সবেদার সুবিধা! বাগান করে আয় ৮ লক্ষ টাকা, পথ দেখাচ্ছেন রাজস্থানের কৃষক
মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার মোহল তালুকের পাপারি গ্রামের বাসিন্দা বর্ষা টেকলে। কৃষিকাজে নিজের কৃতিত্বের মাধ্যমে সকলের রোল মডেল হয়ে উঠেছেন তিনি। স্বামী এবং শাশুড়ির সহযোগিতায় আধুনিক পদ্ধতিতে ডালিম চাষ করে আয় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
advertisement
এমনিতে মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলা ডালিম চাষের জন্য পরিচিত। তবে বর্তমানে সেখানে ডালিম চাষ বেশি হলেও গাছের বিভিন্ন রোগের কারণে ডালিমের বহু বাগানই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে সেখানে দাঁড়িয়ে সঠিক পরিকল্পনা ও সময়মতো স্প্রে করার মাধ্যমে বর্ষা সফল ভাবে ডালিম চাষ করতে সক্ষম হয়েছেন। আর তা থেকে ভাল রোজগারও হচ্ছে। স্বামী-শাশুড়ির পাশাপাশি এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেন ছেলে প্রসাদও। কৃষিকাজে ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য কৃষি বিষয়েই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।
এক সময় স্বামী কুমার টেকলে এবং শাশুড়ি জিজাবাঈ টেকলের সঙ্গে মিলে পাথুরে জমিতে ডালিম চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রগতিশীল কৃষক বর্ষা। আজ সেই সিদ্ধান্তেরই সুফল মিলছে। বর্ষাদের ছয় একর জমির মধ্যে প্রায় পাঁচ একর জমিতেই ডালিম চাষ করা হয়েছে। বাকি এক একর জমিতে চাষ করা হয়েছে কলা। আর সবথেকে বড় কথা হল, ক্ষেতে চাষের কাজ বর্ষারা সম্পূর্ণ ভাবে নিজেরাই করে থাকেন। ট্রাক্টর চালানো থেকে শুরু করে ফসল ফলানো কিংবা স্প্রে করার কাজও তাঁরাই করেন।
বর্ষা জানিয়েছেন যে, ‘প্রথমবার ডালিম গাছ লাগানোর বছর দেড়েক পরে দেখা যায় প্রায় ১৩ টন ডালিম উৎপাদিত হয়েছে। আর ডালিম বিক্রি হয় সাধারণত ৯০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। ফলে গড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করার পরে আয় হয়েছে দশ লক্ষ টাকা।’ তবে এই বছর দ্বিতীয় বার ডালিম হয়েছে। আর তাতে দেখা গিয়েছে যে, কমপক্ষে ৩০ টন ফসল উৎপাদন হয়েছে। ফলে সেখান থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা আয় হবে বলে আশা বর্ষার।
মাটির উর্বরতা বাড়াতে জৈব সার ব্যবহারের উপরেই জোর দিয়েছেন এই মহিলা কৃষক। তিনি জানান যে, গোমূত্র, গোবর ইত্যাদিকেই মূলত সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেই কারণে ডালিমের মানও অত্যন্ত ভাল। তবে ফলনের প্রথম দিকে ফসলে নানা রোগ বাসা বাঁধতে পারে। আর তা প্রতিরোধ করতে ওষুধ স্প্রে করা আবশ্যক।