ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহড়ির লাল কাঁকর পাথুরে যুক্ত মাটিতে চাষ বাস তেমন হয় না বললেই চলে। কিন্ত সেখানকার কৃষকদের প্রচেষ্টায় ভালো মানের উৎকৃষ্ট করলার চাষ হয়েছে যা পাড়ি দিয়েছে ঝাড়খণ্ডের বোকারো, জামশেদপুর, টাটা, বিহার ও ওড়িশার বিভিন্ন স্থানে সাপ্লাই হচ্ছে করলা। প্রতি বিঘায় ফলনের পরিমাণও বেড়েছে যার ফলে লাভের পরিমাণও দ্বিগুণ হয়েছে। বেলপাহাড়ির এড়গোদা, জয়পুর, আশাকাঁথি, রঘুনাথপুর, মৈতড়া, সহ বিভিন্ন গ্ৰামে এই চাষ করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্ধর্ষ রিটার্ন, নিশ্চিত মুনাফা আর কর তো সাশ্রয় হবেই, FD-তে সর্বোচ্চ হারে সুদ দিচ্ছে এই ৬টি ব্যাঙ্ক
ধান চাষের ক্ষেত্রে আউস, এমন এই চাষ বেশি হলেও বোরো কিন্তু খুব একটা হয়না। আর তখনই এই সময় ধান চাষের পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন ধরণের সবজি, ফলের চাষে মেতে ওঠেন চাষিরা। ঠিক তেমনইবেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত লাল কাঁকুরেময় এলাকায় বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল প্রজাতির করলার চাষ করা হয়েছে। এই করলা চাষ করে বেশি মাত্রায় ফলন হয়েছে যার গুণগতমান অত্যন্ত ভালো। ফলে ভিন রাজ্যের চাহিদা পূরণের জন্য এখানকার করলা এখন পৌঁছে যাচ্ছে অন্য রাজ্যে চাহিদা মেটাতে।
প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ১০ টন করলা উৎপাদিত হচ্ছে ,জানান বিনপুর২ নম্বর ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা জয় চক্রবর্তী। সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে তারা লাভের মুখ দেখছেন। প্রতি বিঘায় গড়ে ২৫ থেকে ৪০ কুইন্টাল সর্বোচ্চ ফলন পেতে পারে একজন চাষি। সর্বনিম্ন ১৫ থেকে ২০ কুইন্টাল ফলন হতে পারে। গড় দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। মরসুমের প্রথম দিকে বাজার মূল্য ছিল ১০,০০০- ১৫,০০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল, বর্তমানে বাজার দর ১৫০০ – ২০০০ টাকা পাইকারী। বিঘা প্রতি গড় লভ্যাংশ ৫৫,০০০- ৭০,০০০ টাকা।
তন্ময় নন্দী





