এলাকা পরিদর্শন করেছেন গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডাক্তার খগেন্দ্র নাথ মাহাত। সাধারণমানুষকে সচেতন করেন। বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে তিনি ত্রিপল ও ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। স্থানীয় কৃষক ডাক্তার সিং বলেন, দীর্ঘদিন জলমগ্ন অবস্থায় থাকার ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়েছে এবং জমিতে প্রচুর কচুরিপানা জমে গেছে, যা জমিকে চাষের অযোগ্য করে তুলছে। চাষিরা আরওজানান, “ধানের চারাগাছ তো সবই পচে গেছে। জমিতে এখনও জলের দাগ আর কচুরিপানা জমে আছে। এখন নতুন করে চাষ শুরু করা অসম্ভব।”
advertisement
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে পাট চাষে সঙ্কট! ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা
এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। চাষিরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, যতক্ষণ না জমি পরিষ্কার হচ্ছে এবং পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসছে, ততদিন নতুন করে চাষে নামা সম্ভব নয়।’সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মথুর মাহাত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “এই অঞ্চলের বহু কৃষক জলবন্দি অবস্থার কারণে চাষের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের আমরা ধানের বীজ ও সব্জির বীজ সরবরাহ করব যাতে তাঁরা আবার চাষ শুরু করতে পারেন।”
আরও পড়ুন: কোটি কোটি কৃষকদের জন্য বড় খবর ! কবে মিলবে ২০তম কিস্তির টাকা ? জেনে নিন
তবে কৃষকদের দাবি, কেবলমাত্র বীজ সরবরাহযথেষ্ট নয়—ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক ও জমি পরিষ্কারের জন্য প্রশাসনিক সহযোগিতা জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন কীভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এবং কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়, এখন সেটাই দেখার।
তন্ময় নন্দী