কৃষকদের দাবি, টানা চারদিন অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে সরষের বীজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে উৎপাদনে। গত সপ্তাহে হরিয়ানায় তাপমাত্রার পারদ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় সরষের পাশাপাশি আলু ও ছোলা চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লোহারু ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। হিম এবং ঠান্ডার কারণে যে সব কৃষকের ফসলের ক্ষতির হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রী কৃষকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, রাজ্য সরকারের নীতি অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। কত ক্ষতি হয়েছে তা বুঝতে বিশেষ গিরদাওয়ারির ব্যবস্থাও করবে রাজ্য সরকার।
advertisement
ভিওয়ানির বিজেপি বিধায়ক ঘনশ্যাম দাসও এদিন বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখেন। তিনিও জানান হিম এবং ঠান্ডার কারণেই সরষে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩৩টি গ্রামের কৃষকরা।
ভিওয়ানি জেলার বিরান গ্রামের গ্রামপ্রধান সুলতান ফোগটও তাঁর গ্রামে সরষে চাষে ক্ষতির কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। সুলতান ফোগট বলেন, ‘আমরা কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশেষ গিরিদাওয়ারির দাবি জানাব, যাতে কৃষকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়’।
সরষে প্রধানত ভিওয়ানি, মহেন্দরগড়, রেওয়ারি এবং হিসার জেলায় বপন করা হয়। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে অত্যধিক হিমের কারণে সরষে গাছের ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেতের সরষে ফুল ফোটার পর্যায়ে ছিল।
শুধু হরিয়ানা নয়, রাজস্থানের সীমান্তবর্তী গ্রাম কালুয়ানা, ভারুখেদা, আহমেদপুর দারেওয়ালা, জান্দওয়ালা বিষ্ণোইয়া, চৌতালা ও গঙ্গার কৃষক ভোলা সিং, দয়ারাম, বিনোদ তারাদ গঙ্গা, নায়েব সিং, ভগবান সিং, মনোজ থাপন, জগদীশ, অমর সিং, রাজা রাম প্রমুখেরাও হিম ও ঠান্ডার কারণে ফসল নষ্টের অভিযোগ জানিয়েছেন।