এই বিরল প্রজাতির কলা দেখতে অনেক লাল ও খানিকটা গোলাপি আভাযুক্ত। এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় প্রথম এই কলার জন্ম। এটি অস্ট্রেলিয়ায় Red Dacca Banana নামে পরিচিত। এই লাল কলা লাগিয়ে এখন তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা তারা প্রসাদ। তিনি তাঁর নার্সারিতে সাত মাস আগে এই লাল কলা লাগিয়েছেন। কলা চাষি তারা প্রসাদ জানান, উত্তরাখণ্ড ও হায়দ্রাবাদ থেকে এই কলার চারা আনিয়েছিলেন। এই কলা অত্যন্ত মিষ্টি। তবে কলার ফলন অন্যান্য কলার তুলনায় অনেক কম।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পাহাড়েও স্বস্তি নেই, আজ উত্তর-দক্ষিণের কোন কোন জেলায় বইবে ভয়ঙ্কর ‘লু’? জানুন সর্বশেষ আপডেট
এই কলা চাষের ক্ষেত্রে উঁচু জায়গায় প্রয়োজন, যাতে কোনওমতেই জল জমার সম্ভাবনা না থাকে। তারা প্রসাদ জানান, এই কলা গাছে প্রতিদিন জল দিলে গাছ মরে যায়। তাই এই কলা গাছে গরমের মরশুমে ৭ দিনে একবার। স্বাভাবিক আবহাওয়ায় ১৫ দিনে একবার জলের প্রয়োজন হয়। তারা প্রসাদ আরও জানান, এই কলা গাছ লাগানোর এক বছরের মধ্যে কলার ফলন উৎপাদন হয়ে যায়। সময় সময় জল এবং সময় সময়ে সার প্রয়োগ করতে হয়।
তবে এই কলা গাছে কখনওই রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যাবে না একমাত্র জৈব সার এই কলা গাছের জন্য উপযোগী। তবে ১৫ দিন বা এক মাস অন্তর অন্তর সার প্রয়োগ করতে হবে। তারা প্রসাদ জানান, এই লাল কলার স্বাদ একেবারে হলুদ কলার মতোই, কিন্তু উপকারিতা অনেক। এই কলা কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বক ভাল রাখতেও কাজে লাগে। তবে ফলন অন্যান্য কলার তুলনায় পরিমাণে কম হওয়ায় এই কলা চাষ করে আগামী দিনে কতটা লাভবান হওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন তারা প্রসাদ।
পিয়া গুপ্তা