TRENDING:

Agriculture: ডালিম চাষ করে ভাগ্য খুলে গেল কৃষকের, লাভ বেড়েছে আড়াই গুণ বেশি

Last Updated:

ডালিম চাষ করেই ভাগ্য খুলে গেল কৃষকের, এখন তিনি কোটিপতি

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কৃষিকার্যের জন্য প্রয়োজন স্থিতিস্থাপকতা, কঠোর পরিশ্রম এবং মজবুত সংকল্প। রাজস্থানের বারমের নিবাসী কৃষক জেঠারাম কৃষিকার্যে এক অনবদ্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন। বর্তমানে শুধুমাত্র চাষবাসের মাধ্যমেই তিনি কৃষি থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন। বারমের সীমান্তের কাছে ভীমদা গ্রামে, ছোট-বড় কৃষকরা এখন জেঠারামের ডালিম চাষে লাভের অঙ্ক দেখে উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন।
advertisement

রাজস্থানের কৃষকরা এতদিন জিরা, রেড়ি এবং ইসবগুলের মতো ফসল চাষ করতে অভ্যস্ত ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক জেলায় অনেক চাষিরাই ডালিম চাষের দিকে ঝুঁকেছেন বলে একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বারমেরে এই ফল চাষ করে কৃষকরা বছরে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন।

জেঠারাম ২০১৬ সালে ডালিম চাষ শুরু করেন। তিনি ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে তাঁর ক্ষেত প্রস্তুত করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ভগওয়া সিন্দুরি নামক উন্নত মানের ডালিমের প্রায় ৪,০০০ চারা কিনে তার উর্বর জমিতে রোপণ করেছিলেন। অধ্যবসায়ী প্রচেষ্টার পাশাপাশি তিনি চাষাবাদ অনুশীলনের প্রতিও তার সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছিলেন। আক্ষরিক অর্থেই তাঁর কঠোর পরিশ্রম ফল বহন করে এনেছে। বর্তমানে তাঁর জমিতে ডালিমের ফলন বেড়েছে এবং তাঁর প্রথম ফলন সমস্ত প্রত্যাশাই ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখন, তাঁর উৎপাদিত ফসল অন্যান্য রাজ্যের শহরেও রফতানি করা হয়।

advertisement

২০১৬ সাল থেকে জেঠারাম আর পিছনে ফিরে তাকাননি। তাঁর ফলের গুণগত মান স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বড় বাজারের খুচরো বিক্রেতাদেরও আকৃষ্ট করেছে। কিছু সময়ের মধ্যেই, তাঁর আয় ২.৫ গুণ বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে তাঁর ঋণ পরিশোধ করতেও ভাবতে হয়নি। এছাড়াও এখন তিনি খামারে আরও বিনিয়োগ করতে উৎসাহী। আজ, তাঁর ফসল মুম্বই, বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ, দিল্লি এবং কলকাতা সহ বাংলাদেশেও রফতানি করা হয়।

advertisement

রিপোর্ট অনুসারে, গুজরাতের বুদিওয়াড়াতে এই ফলের গাছ দেখার পরেই জেঠারামের মাথায় প্রথম ডালিম গাছের চাষ করার কথা আসে। পরে, তিনি নাসিক থেকে চারা নিয়ে আসেন এবং চাষ শুরু করেন।

বর্তমানে বারমেরে জেঠারামের প্রায় ২৮ একর জমি রয়েছে। তিনি তাঁর চাষের সীমা বাড়িয়ে চলেছেন। তাঁর মতে, ফল চাষের দ্বিতীয় বছরে তাঁর আয় হয়েছিল ৭ লক্ষ টাকা। পরের বছর, এটি বেড়ে হয় ১৫ লক্ষ টাকা এবং চতুর্থ বছরে আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ লক্ষ টাকা। পঞ্চম বছরের মধ্যেই তিনি প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা আয় করেছিলেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Agriculture: ডালিম চাষ করে ভাগ্য খুলে গেল কৃষকের, লাভ বেড়েছে আড়াই গুণ বেশি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল