চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কী কী ডকুমেন্টস লাগবে । আবেদন করতে গেলে কৃষকের চাষযোগ্য জমি থাকতে হবে। জমির পড়চা থাকতে হবে । যদিও সেটা পাট্টা জমি অথবা নিজের জমি কিংবা বর্গাদার জমিও হলেও চলবে। অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের কৃষক হতে হবে । কৃষকের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে। কৃষকের নিজস্ব সিঙ্গেল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।নতুন করে যারা কৃষক বন্ধু এপ্লিকেশন করবেন তাদের জন্য মূলত যেটা লাগবে সেটা হচ্ছে মেইন ফর্ম।
advertisement
কৃষক বন্ধু ফর্মটা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অথবা বি ডি ও অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কৃষকদের লাগছে আধার কার্ড ভোটার কার্ড সিঙ্গেল ব্যাংকের একাউন্ট। জমির পর্চা এবং এক কপি ফটো। এবার উত্তরাধিকার সূত্রে কেউ যদি জমি পেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তার কোনরকম এপিক কার্ড লাগবে না কিন্তু যদি জমি দানপত্র করা হয় অথবা জমি যদি কারোর কাছ থেকে কেনা হয় সেই বিক্রেতা ব্যক্তির এপিক নাম্বারটা কৃষক বন্ধু করার সময় লাগছে ।
কিন্তু বিক্রেতা ব্যক্তির এপিক নাম্বার কেন লাগছে ? এর জন্য একটা কারণ রয়েছে । এই প্রসঙ্গে বর্ধমান দু’নম্বর ব্লক আতমা অ্যাসিস্ট্যান্ট টেকনোলজি ম্যানেজার বৃতি ভট্টাচার্য জানান মূলত ধরুন একই জমির উপর যে বিক্রেতা জমিটা ধরুন বিক্রি করেছে। অথচ সে হয়তো সেই জমিটার উপরেই কৃষক বন্ধুর টাকা সে পাচ্ছেন এবার নতুন যে জমিটা কিনেছে সে একই দাগ নাম্বারের উপর হয়তো কৃষক বন্ধুর টাকা পেয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: Gold Silver Price Today: মধ্যবিত্তের জন্য বিশাল খবর! সোনার দামে ফের পতন, পাল্লা দিচ্ছে রুপোও
এক্ষেত্রে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই একটি মাত্র জমির পর্চা দেখিয়ে কৃষক বন্ধুর টাকা পেয়ে যাবে। যাতে এই সমস্যা এড়ানো যায় সেই কারণে সরকার চিন্তা ভাবনা করে আমাদের এই নতুন গাইডলাইনস দিয়েছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কত টাকা দেওয়া হবে? কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দ্বিগুণ করা হয়েছে বর্তমানে আগে দেওয়া হতো ন্যূনতম ২০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা।তবে সেই অনুদান বৃদ্ধি করে বর্তমানে নূন্যতম ৪০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০০০ টাকা করা হয়েছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী