প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জলাধারে বেশি জল মজুত নেই। মাইথন বা পাঞ্চেত জলাধারের ক্যাচমেন্ট এলাকায় পুজোর পর সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। তাই রবি ও বোরো মরশুমে পর্যাপ্ত জল দিতে পারছে না ডিভিসি। এই মরশুমের জন্য কতটা জল পাবে পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা?
advertisement
রবি ও বোরো মরশুমে পূর্ব বর্ধমান জেলার মাত্র ৩৭ হাজার একরের জন্য ডিভিসির সেচের জল মিলবে। সম্প্রতি রাজ্যের সেচ দফতরের মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভিন্ন জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন।
সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয় কোন জেলা কতটা জমিতে এই মরশুমে চাষের জন্য ডিভিসির জল পাবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে আমাদের জেলার জন্য ৩৭ হাজার একরে সেচের জল মিলবে বলে জানানো হয়েছে। সামনের সপ্তাহে বৈঠক করে আমরা ঠিক করবো কোন কোন ক্যানেলে জল মিলবে।’’
তবে কবে জল ছাড়া হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। রাজ্য যেমন সিদ্ধান্ত নেবে সেই মতো জল ছাড়া হবে বলে ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পূর্ব বর্ধমান জেলার ৮ টি ব্লক সেচের জল পাবে তা চূড়ান্ত করেছে জেলা প্রশাসন। সেই ৮টি ব্লক হল গলসি-১ ও ২, আউশগ্রাম-১ ও ২, বর্ধমান-১ ও ২, জামালপুর ও মেমারি-১ ব্লকের একাংশ।
এইসব ব্লকের কোন কোন এলাকা সেচের জল পাবে তা সামনের সপ্তাহে চূড়ান্ত হবে। ডিভিসি যে হারে জল ছাড়া কমাচ্ছে তাতে প্রতি বছরই রবি ও বোরো চাষে ক্যানালের সেচ সেবিত ক্ষেত্র কমতে শুরু করেছে। গত কয়েক বছরের ট্রেন্ড এবারেও অব্যাহত।
প্রতি বছর রবি ও বোরো মরশুমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি ও হাওড়া জেলায় ডিভিসির সেচের জল ছাড়ার বিষয়ে ডিভিশনাল কমিশনার বৈঠক করেন। ডিভিসি আগে থেকেই জানিয়ে দেয় তারা কতটা জল দিতে পারবে।
তারপর সেই অনুযায়ী এই পাঁচ জেলা ঠিক করে কে কতটা জমিতে চাষের জল পাবে। অন্যান্য বার যা নভেম্বরের শেষেই চূড়ান্ত হয়ে যায়। ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে ডিভিসি জল ছাড়তে শুরু করে। কিন্তু এবার সেই বিষয়ে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোনও বৈঠক না হওয়ায় চিন্তায় পড়েছিলেন শস্য ভান্ডার পূর্ব বর্ধমানের চাষিরা।