আরও পড়ুনঃ উপকারি ‘ড্রাগন ফল’ চাষে বিকল্প আয়ের সন্ধান! বাজারে বাড়ছে এই ফলের চাহিদা
কিন্তু ধুঁইঞ্চা গাছগুলি শুকিয়ে জমির সবুজ সার হিসেবে কাজ করবে। যার ফলে ওই এলাকায় মাটির উর্বরতা বাড়বে। কৃষকরা আরও ভাল ফসল পাবেন। মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সালানপুরের কল্লা গ্রামে ধান চাষের জন্য নেওয়া হয়েছে এই অভিনব পদ্ধতি। নতুন এই পদ্ধতিতে কৃষি কাজ কেমন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখলেন জেলা-সহ কৃষি অধিকর্তা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় এডিও।
advertisement
নতুন পদ্ধতিতে কৃষি কাজের অগ্রগতি দেখতে, সালানপুর ব্লক পর্যবেক্ষণ এসেছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা(তথ্য) উৎপল মন্ডল। সালানপুর ব্লকের কল্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিয়া কুলবাড়িয়া এলাকায় ধান চাষের সঙ্গে ধুঁইঞ্চা গাছ লাগানো হয়। কৃষি অধিকর্তা উৎপল মন্ডল জানিয়েছেন, এই ধুঁইঞ্চা গাছ ধান চাষের ক্ষেত্রে মাটিকে উর্বর করতে খুবই সাহায্য করে। এতে কৃষকদের ধান চাষে সারের খরচ কম হয়।
কারণ এই ধুঁইঞ্চা গাছ একটি সময় পর্যন্ত বড় করা হয়। তারপর আগাছানাশক দিয়ে ওই গাছকে মেরে ফেলা হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে ওই গাছ শুকিয়ে ব্রাউন সার হিসেবে কাজে লাগে। যা ধান চাষের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। তিনি এও জানান সালানপুর ব্লকে যে ধুঁইঞ্চা লাগানো হয়েছে, তা আরও কয়েকদিন আগে লাগাতে পারলে ভাল হত। যেহেতু এ বছর বর্ষা অনেক দেরি করে এসেছে, সেকারণে এই গাছ লাগাত দেরি হয়েছে।
সালানপুর ব্লক এডিও রাজর্ষি ব্যানার্জি বলেন, কল্যা জিপির ওইসব ওই এলাকায় মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের আওতায় জিরো টিলেজ মেশিন দিয়ে ধান লাগানো হয়। যা ফলে কম বৃষ্টি হলেও মাটি চষে ধান লাগানো সম্ভব। জিরো টিলেজ মেশিনের দ্বারা এই কাজ করা হয়।
Nayan Ghosh