আখের ফলনে মূল্য পরিশোধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই কৃষক, ছিল না লাভের আশাও। এমন সময় তিনি সবজি চাষের সিদ্ধান্ত নেন। আর সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তা বুঝতে পারছে গোটা এলাকা। এখন ওই কৃষক সবজি বাগান থেকেই তিনি লাভ করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রোটিনের ভাণ্ডার থেকে উজ্জ্বল ত্বক! দারুণ উপকারী এই ফলের বীজ কিন্তু ভুলেও ফেলে দেবেন না!
advertisement
অনেক কৃষকই এখন ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ ছেড়ে সেই সব সবজি উৎপাদন করে ভাল লাভ করছেন, বাজারে যার চাহিদা প্রচুর। আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে, জৈব পদ্ধতিতে এই ধরনের সবজি চাষ করলে ভাল লাভের সম্ভাবনা বেশি। সবজি স্বাস্থ্যকর এবং উপকারীও।
উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার খেকরা শহরের বাসিন্দা রাজেশ ৬ বছর আগেও নিজের জমিতে শুধু আখের উৎপাদনই করতেন। তাঁর প্রায় আট একর জমি রয়েছে। পুরো জমিতেই আখ চাষ করতেন। কিন্তু তা থেকে আয় হত অল্পই। আখের মজুরি নিয়েও অস্থিরতা ছিল। তাই তিনি সবজি চাষ শুরু করেন বছর কয়েক আগে।
আরও পড়ুন: ভোটের দিনেও অশান্তির আশঙ্কা? কমিশনের কড়া নজরে ভাঙড়-ক্যানিং, বাহিনী নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
খেকরার কৃষক রাজেশ জানান, বর্তমানে তিনি নানা ধরনে সবুজ আনাজ উৎপাদন করেন খেতে। এর মধ্যে রয়েছে শসা, টমেটো, লাউ ইত্যাদি ফসল। রাজেশ বলেন, ‘দিল্লির আজাদপুর মান্ডির লোনির লালবাগ বাজারে এই সব সবজি চাহিদা রয়েছে। খুব সহজেই সরবরাহ করা যায়।’ প্রতিদিনই সবজি সরবরাহ করে ঘরে টাকা আনতে পারেন রাজেশ, সারা বছর। এই রোজগার থেকে তাঁর পুরো পরিবারের ভরণপোষণ হয় খুব সহজে।
রাজেশের দাবি, এলাকার সমস্ত কৃষকের উচিত ঐতিহ্যবাহী ফসলের পাশাপাশি সবজি চাষে মন দেওয়া। তবে ঝুঁকি সব কিছুতেই রয়েছে। যেমন এবার টানা বর্ষণে কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। রাজেশ বলেন, ‘টমেটোর থেকে ভাল লাভ হচ্ছিল। কিন্তু এখন টানা বৃষ্টিতে টমেটো নষ্ট হতে শুরু করেছে। যদিও টমেটোর দাম বাড়ছে। ফলে লাভ আছে।’