আরও পড়ুনঃ ডালিম চাষ করে ভাগ্য খুলে গেল কৃষকের, লাভ বেড়েছে আড়াই গুণ বেশি
মিঠুন বাবুর বাড়িতে ঢুকলেই দেখা যায় চারপাশে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রঙের, বিভিন্ন প্রজাতির পদ্মফুল। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেই পদ্মফুল চাষ করার প্রতি ইচ্ছে জাগে মিঠুনের। শুরুটা করেছিল শখ করে, এখন তাঁর পদ্ম বাগানে রয়েছে রেড স্পিয়নী, ইয়োলো স্পিয়নী, হোয়াইট স্পিয়নী, চাইনিজ রেড সাংহাই, আমেরিকান ক্যামেলিয়া-সহ বিশ্বের মোট ১৩ প্রজাতির পদ্মফুল। তিনি এত প্রজাতির পদ্মফুলের গাছের শিকড় কেরল, উড়িষ্যা এবং কলকাতা থেকে সংগ্রহ করেছেন। তবে, শুরুটা শখের বশে হলেও বর্তমানে যেহেতু পদ্ম ফুলের চাহিদা বাড়ছে, সেই জন্য গাছের শিকড় গুলি বিক্রির জন্য আরও বেশি করে চাষ করছেন। পদ্ম ফুলের শিকড় বিক্রি করেই অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজে পেয়েছেন এই গৃহ শিক্ষক।
advertisement
জলপাইগুড়ি জেলা তো বটেই, জেলার বাইরে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুলপ্রেমীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করছেন এই বিষয়ে। তাঁর তৈরি শখের এই ফুলবাগান দেখতে মাঝে মধ্যেই তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান প্রচুর মানুষ। আসন্ন দুর্গা পুজো এবং কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোতে এই পদ্ম ফুলের অনেকটাই চাহিদা থাকবে বলে আশাবাদী তিনি। পদ্মফুল চাষি মিঠুন মন্ডল জানিয়েছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে পদ্মফুল দেখি সেখান থেকে আমার ইচ্ছে হয় বাগান তৈরি করার। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যোগাযোগ করে প্রথমে শখ করে পদ্মফুল চাষ শুরু করি এখন দেখছি এখান থেকে একটা উপার্জনের রাস্তা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ওর্ডার দিলে নিমেষেই ফুল প্রেমীরা সংগ্রহ করতে পারবে বিভিন্ন প্রজাতির পদ্ম ফুলের শিকড়।
সুরজিৎ দে