TRENDING:

বিদেশি ঘাসে ঢেকেছে রাজস্থানের রুক্ষ্ম জমি! পশুপালনে নতুন আলোর দিশা দেখছেন কৃষক!

Last Updated:

যে এলাকার মানুষ সামান্য কিছু ঘাস আনবার জন্য হিমশিম খেতেন সেই সেই এলাকাতেই এখন আকাশছোঁয়া ঘাসের জমি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মরুভূমিতে জীবন ধারণ করা এক সংগ্রাম। এখানকার মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হল গবাদি পশু। কিন্তু গবাদি পশু পালন করবার জন্য যে পরিমাণ খাদ্যের প্রয়োজন সেটুকু জোগাড় করতেও কালঘাম ছুটে যায় মরুভূমি এলাকার বাসিন্দাদের।
বিদেশি ঘাসে ঢেকেছে রাজস্থানের রুক্ষ্ম জমি! পশুপালনে নতুন আলোর দিশা দেখছেন কৃষক!
বিদেশি ঘাসে ঢেকেছে রাজস্থানের রুক্ষ্ম জমি! পশুপালনে নতুন আলোর দিশা দেখছেন কৃষক!
advertisement

এতদিন পর্যন্ত বাজরার ভুসি আর শুকনো ঘাস খাইয়ে গবাদি পশু পান করতেন তাঁরা। বছরে একবার বৃষ্টি হয় যেসব এলাকায় সেখানে বাজরার মতো ফসল ছাড়া আর কিছুই ফলে না।

এই পরিস্থিতিতেই রাজস্থানের সীমান্তবর্তী দুই জেলা বারমেঢ় এবং জালোরে আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে এক বিদেশী প্রজাতির ঘাস। এই এলাকায় তৈল অনুসন্ধান ও উৎখননের কাজে নিযুক্ত কেয়ার্ন বেদান্ত ফাউন্ডেশন কৃষকদের সঙ্গে বসে তাঁদের খেত ও ফলনে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করে নতুন দিশা দেখাতে শুরু করেছে। পশুখাদ্যের বিষয়টি নিয়েও শুরু হয় ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়।

advertisement

এই মুহূর্তে এই দুই জেলায় পশুপালন ও দুগ্ধ উৎপাদন পরিকল্পনা যেন এক নতুন রূপকথার জন্ম দিচ্ছে। যে এলাকার মানুষ সামান্য কিছু ঘাস আনবার জন্য হিমশিম খেতেন সেই সেই এলাকাতেই এখন আকাশছোঁয়া ঘাসের জমি। পশুখাদ্যের আর কোনও অভাবই নেই। শুধুমাত্র পশুখাদ্যের জন্যই এখানে চাষ হচ্ছে সুপার নেপিয়ার ঘাস।

advertisement

কেয়ার বেদান্তের পরিকল্পনা অনুযায়ী বারমেঢ় এবং জালোর জেলার সাতটি ব্লকের ৬২টি গ্রামে এই ঘাসের বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। একে এলিফ্যান্ট গ্রাসও বলা হয়। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি প্রজনন ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিওর’। তারই আওতায় বিভিন্ন গ্রামে ২০১৪ সাল থেকে ঘাস চাষ করা হচ্ছে।

advertisement

আরও পড়ুন: ইনফোসিসে ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে বেগুনচাষি! যুবকের উপার্জন বেড়ে দ্বিগুণ

প্রকল্পের ম্যানেজার হনুমানরাম চৌধুরী জানান, ‘শিওর’ ২০০৭ সাল থেকেই বারমেঢ় জেলায় দুগ্ধ উন্নয়ন এবং পশুপালন প্রকল্পে কাজ করছে৷ এই প্রকল্পের আওতায় দুধ উৎপাদন ও তার গুণগত মান নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে বারমেঢ় এবং জালোরে নেপিয়ার ঘাসের চাষ শুরু হয়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

২০১১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩,৯৮,২০০ নেপিয়ার ঘাসের চারা ৫২৬৫জন কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সেসব ঘাসই এখন সবুজ করে ফেলেছে এলাকাকে। কৃষকও হয়েছে স্বাবলম্বী।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
বিদেশি ঘাসে ঢেকেছে রাজস্থানের রুক্ষ্ম জমি! পশুপালনে নতুন আলোর দিশা দেখছেন কৃষক!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল