জানা যায়, এক বছর আগে প্রায় ২বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে সজনে চাষ করছেন। ৬ মাস আগে সজনে গাছে ফুল এসেছিল। এখন ফল আশাতেই বিনিয়োগের দ্বিগুণলাভ হবে বলে ধারণাকরছেন তিনি।সোহেলী হেমব্রম জানান কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই ইউটিউবে নিয়মিত কৃষি বিষয়ক ভিডিও দেখতাম। তারপর সেখান থেকে দেখে ওডিসি-৩ জাতের সজনে চাষ করা শুরু করি। তিনি এই ওডিসি ৩ প্রজাতির সজনে ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচার ফার্ম তামিলনাড়ু থেকে অর্ডার করেছিলেন।
advertisement
তারপর বীজ এনে আমার জমি প্রস্তুত করে সজনের বীজ লাগিয়ে দিই। ১ বছর আগে লাগিয়েছিলেন। এক বছর আগে লাগানো গাছে প্রায় ৬ মাস আগে ফুল এসেছে। এর মধ্যে অনেক ফলন ও এসেছে এই দম্পতির জমিতে।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন ঘিরে তুমুল উত্তপ্ত চোপড়া! গুলিবিদ্ধ ৩, মৃত্যু একজনের, ৬ দিনে পঞ্চায়েতে বলি ৩
কৃষক তাপস হেমব্রম জানান বলেন, সজনের বীজ সংগ্রহ, জমি প্রস্তুত ও অন্যান্য সব মিলিয়ে প্রায় ৪০/৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উৎপাদিত সজনে বিক্রির পাশাপাশি বীজ তৈরী করব। এতে করে আবার বীজ কিনে আনতে হবে না। আর এই বীজ থেকে চারা তৈরী করে সারা জেলায় ছড়িয়ে দিতে পারব। সোহেলি হেমব্রম জানান সজিনা চাষের পূর্বে সজিনার জমিতে ২.৫ ফুট আকারের গর্ত করতে হবে।
তারপর সেই গর্তগুলিতে সজিনার চারা বা কাটিং রোপন করতে হবে।সজিনা গাছের গোড়ার আগাছা সবচেয়ে পরিষ্কার করতে হবে।প্রয়োজনে সজিনা গাছে জৈব-অজৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।সজিনা গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সজনে গাছের মরা এবং অপ্রয়োজনীয় ডালপালাগুলো ছেঁটে দিয়ে পরিচর্যা করতে হবে।
পিয়া গুপ্তা