করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাচ্ছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বহু জায়গায় আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছে। চলছে নাইট কারফিউ। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ সহ বেশ কিছু রাজ্যে বহু সংস্থাই কর্মীদের work from home চালু করেছে আবার। তাহলে কি ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্ট লম্বা সময় চলবে! BCG-ZOOM নামের একটি সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ৮৭ শতাংশ ভারতীয় ব্যবসায়িক সংস্থা ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্ট লম্বা সময়ের জন্য চাইছে। ওই সংস্থার করা একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, কর্মীরা নিজেদের বাড়ি থেকে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। তাই আগের থেকে তিনগুণ বেশি সময় বরাদ্দ করে রাখছেন অফিসের কাজের জন্য। বাড়িতে বসে কাজ এবং ভিডিও কমিউনিকেশন-এর মাধ্যমে করোনা মহামারীর সময় বহু সংস্থা কাজ চালিয়েছে। তবে বেশ কিছু সংস্থায় ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্ট চলাটা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সেই সব সংস্থার কর্মীদের অফিস মারফত কাজ সামলাতে হবে। কিন্তু যেসব অফিসের কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার সুযোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে বহু সংস্থার কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করিয়ে আগের থেকে বেশি মুনাফা তুলেছে সংস্থাগুলি। ব্যবসাও গড়িয়েছে আগের থেকে ভালভাবে।
advertisement
ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা, জাপান, ফ্রান্স ও জার্মানি, এই ছটি দেশের বহু সংস্থার কর্মীদের উপর সমীক্ষা করেছিল সেই সংস্থা। তারা জানিয়েছে, করোনা মহামারীর সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্সিং-এ আগের থেকে পাঁচগুণ বেশি সময় কাটিয়েছেন কর্মীরা। এমনকি ৭০ শতাংশ ম্যানেজার বাড়ি থেকে কাজ করায় আগের থেকে বেশি সময় দিচ্ছেন অফিসের জন্য। করোনা মহামারীর আগে তাঁরা যে সময় দিতেন এখন তার থেকে অনেকটাই বেশি দিচ্ছেন। লকডাউনের জেরে বহু সংস্থাই কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম- এর সুবিধা দিয়েছিল। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট জানাচ্ছে, মহামারীর সময় ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্ট না থাকলে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই ২.২৮ মিলিয়ন মানুষ চাকরি হারাতে পারতেন। যদিও সেই সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, ভিডিও কমিউনিকেশন-এর ব্যাপারে এখনও বহু কর্মী সেভাবে সড়গড় হয়ে উঠতে পারেননি। ভিডিও কমিউনিকেশন ভবিষ্যতে কতটা কাজ দেবে, তা এখনও পরীক্ষার বিষয়।