কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের হাউজ রেন্ট অ্যালাওয়েন্স বা এইচআরএ নিয়মের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কর্মীদের বাড়ি ভাড়া পেতে কী কী শর্ত পূরণ করতে হবে, তা জেনে রাখা উচিত। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও কর্মী অন্য কর্মীকে দেওয়া সরকারি বাসস্থান ভাগ করে নেন, তা-হলে তিনি আর বাড়ি ভাড়া ভাতা পাবেন না। এমনকী যদি কর্মচারীর বাবা-মা, ছেলে অথবা মেয়েকে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার, পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং এবং আধা-সরকারি সংস্থা যেমন মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, পোর্ট ট্রাস্ট, জাতীয়করণকৃত ব্যাঙ্ক, এলআইসি ইত্যাদি দ্বারা একটি বাড়ি বরাদ্দ করা হয় এবং কর্মী যদি সেখানেই বাস করেন, তাহলে তাঁকে আর বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়া হবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
স্বামী অথবা স্ত্রী সরকারি বাসস্থান পেলে এইচআরএ মিলবে না:
ধরা যাক, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। এখন স্ত্রী সরকারি বাসস্থান পেয়েছেন। স্বামী সেখানেই থাকুন কিংবা আলাদা ভাড়া বাড়িতেই থাকুন, তাঁকে আর আলাদা করে বাড়ি ভাড়া ভাতা দেবে না সরকার।
আরও পড়ুন - ব্রাইটনেস ভলিউম ফুল রেখে স্মার্টফোন দেখেন? অজান্তেই বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ডেকে আনছেন
এইচআরএ কী:
এইচআরএ বা বাড়ি ভাড়া ভাতা হল এক জন কর্মচারীর বেতনের একটি অংশ, যা নিয়োগকারী সংস্থা বাড়ির ভাড়া মেটানোর জন্য প্রদান করে থাকে। বেতনভোগী ব্যক্তি যে বাড়িতে থাকেন, তা ভাড়া বাড়ি হলে তিনি এই ভাতার দাবি করতে পারেন। নিজের বাড়ি থাকলে এইচআরএ পাওয়া যায় না। তা-ছাড়া এইচআরএ শুধুমাত্র তখনই পাওয়া যায়, যখন বাড়ির ভাড়া বেতনের ১০ শতাংশের বেশি হয়।
সরকার এত এইচআরএ দেয়:
যখন কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ভাড়া বাড়িতে থাকেন, তখন তাঁর বাড়ির খরচ তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা - X, Y এবং Z। 'X' বিভাগটি হল ৫০ লক্ষ বা তার বেশি জনসংখ্যার এলাকার জন্য। এখানে সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে ২৪ শতাংশ এইচআরএ দেওয়া হয়। 'Y' হল সেই সব এলাকার জন্য, যেখানে জনসংখ্যা সাধারণত ৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষের মধ্যে। এই সব এলাকার ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়া হয়। যেখানে জনসংখ্যা ৫ লক্ষেরও কম, সেই জায়গা জেড ক্যাটাগরিতে আসে এবং এই সব জায়গার জন্য ৮ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়া হয়।