প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় ২০১৭ সালে রুদ্রপুরের দরিদ্রদের জন্য ১৮৭২টি বাড়ি তৈরির অনুমতি মিলেছিল। কিন্তু ছয় বছরেও তার কাজ শুরু হয়নি। এই ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করে কেন্দ্র সরকার।
আরও পড়ুন: ৩ বছর খাটানোর পর LIC-র টাকা কি তুলে নেওয়া যায়? জেনে রাখুন পদ্ধতিটা!
আবাসন প্রকল্পের জন্য মোদি ময়দানকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই জমিটিকেও সরকার উপযুক্ত বলে বিবেচনা করেনি। এরপর জমির খোঁজে নামে জেলা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। অবশেষে রুদ্রপুর গ্রামের বাগওয়ালায় আবাসন প্রকল্পের জন্য ১৫ একর জমি দেয় জেলা প্রশাসন।
advertisement
ডিপিআর পাঠানো হয়েছে: জেলা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১৩০ কোটি টাকা খরচের একটি ডিপিআর তৈরি করে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১২ কোটি টাকা। ১৮ কোটি টাকা পরিশোধ বাবদ খরচ। সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর ভারত সরকারের এজেন্সি উদা ও ওয়াপকস নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। সেখানে একটি চারতলা আবাসিক ভবন ও একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। বাড়ির জন্যে ১৮৭২টির বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তবে লটারির মাধ্যমে বাড়ি বিতরণ করা হবে।
শর্তাবলী: ডিডিএ ভাইস প্রেসিডেন্ট হরিশ চন্দ্র কান্দপাল জানিয়েছেন, নগর উন্নয়ন বিভাগের পোর্টালে শীঘ্রই নিবন্ধন শুরু হবে। যাচাইকরণের পরে দেওয়া হবে কোড নম্বর। আগ্রহী ব্যক্তিরা এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ৫০০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে পারেন।
আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য ক্যাম্প করছে জেলা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। আবেদনকারী ব্যক্তিকে ২০১৫ সালের আগে থেকে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা হতে হবে। আয় হতে হবে ৩ লাখ টাকার কম। পাশাপাশি আবেদনপত্র শুধুমাত্র বাড়ির মহিলার নামেই জমা দেওয়া যাবে। জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটের দাম রাখা হয়েছে ৬ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ২.৫ লক্ষ টাকা সরকার দেবে। বাকি ৩.৫ লাখ টাকা সুবিধাভোগীকে দিতে হবে। ঋণের ব্যবস্থাও সরকার করে দেবে।