আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড খারাপ নয় মোটেই, শুধু স্মার্টলি ব্যবহারের কৌশল জানতে হবে,সেটা কেমন?
ম্যাক্রো ট্রেন্ড সম্পর্কে যে সব বিনিয়োগকারীর যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে এবং অন্যান্য ইক্যুইটি ফান্ডের তুলনায় বেশি ঝুঁকি নিতে পিছপা হন না, এই সব ফান্ড তাঁদের জন্য আদর্শ। এই ধরনের ফান্ডে ঝুঁকি বেশি তাই অনেক সময় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এমনকী যখন বাজার ভালো সেই সময়েও এই ফান্ডগুলোতে ঝুঁকি থাকে।
advertisement
ভিভিডেন্ট ইয়েল্ড ফান্ডগুলির মূল বৈশিষ্ট হল, এই ধরনের ফান্ড বিনিয়োগকারীদের মূলধনের একটা বড় অংশ লভ্যাংশ প্রদানকারী স্টকগুলোতে ঢালে। আইডিবিআই ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড ফান্ড - ডায়রেক্ট প্ল্যান-গ্রোথ হল এমনই একটি ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড মিউচুয়াল ফান্ড প্ল্যান। এই ফান্ড গত তিন বছরে তার বিনিয়োগকারীদের (একক বিনিয়োগ এবং সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান উভয়ের উপর) ব্যাপক রিটার্ন প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: দাম কমল অপরিশোধিত তেলের দাম, দেখে নিন আজকে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কত হল
আইডিবিআই ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড ফান্ড: গত এক বছরে এসআইপি বিনিয়োগকারীদের ১২.৯০ শতাংশ হারে রিটার্ন দিয়েছে। একই সময় মূল রিটার্নের পরিমাণ ছিল ৬.৮৫ শতাংশ। একইভাবে গত দুই বছরে এই স্কিমে বার্ষিক ২৬.৩৫ শতাংশ হারে রিটার্ন মিলেছে। এই সময়ে মূল রিটার্নের পরিমাণ ছিল ২৮.৭০ শতাংশ। গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে চোখ বোলালে দেখা যাবে, এই স্কিমে এসআইপি বিনিয়োগকারীরা ২৫ শতাংশের বেশি রিটার্ন পেয়েছেন। সেখানে মূল রিটার্ন ছিল ৪৩.৯০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এলআইসি আইপিও-র বিনিয়োগকারীরা লাভ করবেন, ইঙ্গিত দিচ্ছে গ্রে মার্কেট!
রিটার্ন গণনা: ধরা যাক কেউ এক বছর আগে আইডিবিআই ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড ফান্ডে ১০ হাজার টাকার এসআইপি শুরু করেছেন। তাহলে ১২ মাসে তাঁর মোট বিনিয়োগ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ১২.৯০ শতাংশ সুদ ধরলে তিনি ১ লাখ ২৭ হাজার টাকার মূলধন পাবেন। দু’বছর আগে এই ফান্ডে ১০ হাজার টাকার এসআইপি-তে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিয়োগ বেড়ে ৩.০৯ লক্ষ টাকা হত। একইভাবে ৩ বছর আগে ১০ হাজার টাকা এসআইপি করলে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার বিনিয়োগ বেড়ে আজ ৫.১৩ লাখ টাকা হয়ে যেত।
উল্লেখ্য, ডিবিআই ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড ফান্ড-ডায়রেক্ট প্ল্যান-গ্রোথের ভারতীয় ইক্যুইটির ৯৮.৫৩ শতাংশ এক্সপোজার রয়েছে, যার মধ্যে ৬৩.০৪ শতাংশ লার্জ ক্যাপ স্টকে, ১৮.৪১ শতাংশ মিড ক্যাপ স্টকে এবং ১৭.০৮ শতাংশ স্মল ক্যাপ স্টকে রয়েছে।