এখন প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এই গ্রামের বাসিন্দারা মূর্তি পূজো করেন না? কারণ হিসাবে গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের গ্রামেই বক্রেশ্বর নদীর ধারে রয়েছে নিম্বোবাসিনী মা। যাকে অনেকে দেহীরা কালি মাও বলে থাকেন। কথিত বিভিন্ন কাহিনী থেকে জানা যায়, এখানে ভরদ্বাজ মুনি সাধনা করতেন এবং সেখানে থাকা একটি প্রাচীন নিমগাছের নিচে এই নিম্নবাসিনী মায়ের প্রতিষ্ঠা হয়। তারপর থেকে প্রতিবছর এখানে নিম্ববাসিনী মায়ের পুজো করা হয়ে থাকে। এই নিম্নবাসিনী মায়ের জন্যই গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামে কোনরকম মূর্তি পূজো করেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: এত বড় সাপ? মাথাভাঙ্গায় ১০ ফুটের বিশাল আকার রক পাইথন উদ্ধার! দেখুন
গ্রামের বাসিন্দাদের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, তারা পূর্বপুরুষদের সময়কাল থেকেই এই রীতি দেখে আসছেন এবং গ্রামের অমঙ্গল যাতে না হয় তার জন্য কোন মূর্তি পূজো করেন না। কালীপুজো ছাড়াও অন্যান্য পুজোতেও কোনরকম মূর্তি পূজো হয় না। এমনকি সরস্বতী পুজোতে বাড়িতে বাড়িতে পুজো হলেও ঘটে অথবা পটে পুজো করা হয়ে থাকে। পরিবর্তে এলাকার বাসিন্দারা নিম্নবাসিনী মাকে কখনো দুর্গা, কখনো কালি, কখনো লক্ষ্মী, কখনো আবার সরস্বতী রূপে পূজা করে থাকেন তিথি অনুযায়ী।
আরও পড়ুন: বিউটি স্লিপ বলে কিছু হয়, না কি কথার কথা? ঘুম নিয়ে এগুলি অবশ্যই জানুন
সামনেই দীপান্বিতা অমাবস্যায় বিভিন্ন জায়গায় ধুমধাম করে কালীপুজোর আয়োজন করা হলেও এই বেহিরা গ্রামে কোন কালী মূর্তির পুজোর আয়োজন হবে না। বরং গ্রামের প্রতিটি মানুষ বক্রেশ্বর নদীর ধারে নিম্ববাসিনী মাকেই দেবিকালিকা রূপে পুজো করবেন, যা কয়েক শতাব্দী ধরেই হয়ে আসছে।
মাধব দাস