দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই এক অবস্থা। এটিএমে কার্ড ঢুকিয়ে মিলছে না নোট। ব্যাঙ্কেও হাত তুলে দিয়েছেন কর্মীরা। একই অবস্থা দিল্লি থেকে হায়দরাবাদ। বাদ নেই নরেন্দ্র মোদির রাজ্য থেকে গুজরাত থেকে নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী। আচমকা অর্থ সংকটে জেরবার বিহার, মধ্যপ্রদেশে থেকে ঝাড়খন্ড।
দেশের অধিকাংশ এটিএমেই এক ছবি। উত্তরপূর্বের অসম থেকে মণিপুরেও এক অবস্থা। সকাল থেকে এটিএমে ঘুরে টাকা উঠছে না। কোথাও আবার টাকার অভাবে বন্ধ এটিএমের দরজা। ফলে, বহু এটিএম থেকেই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের। দেশজুড়ে একই পরিস্থিতি। আর তা থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রমশ দুর্ভোগ বাড়তে শুরু করে। কোথাও অভিযোগ, এটিএমে নেই দু’হাজার টাকার নোট। কোথাও আবার অভিযোগ, পাঁচশো টাকাই নেই। কোথাও এটিএমের ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা।
advertisement
‘দেশে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?’ এটিএমে নোটের খরায় প্রশ্ন মমতার
আরবিআই সূত্রে খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে রাজ্যগুলিতে টাকা পাঠানোয় সমস্যা রয়েছে। তা স্বীকার করে নিয়েছে অর্থমন্ত্রকও । উপরন্তু ২০০ টাকার নোট দেওয়া যাচ্ছে না ৷ সমস্যা মিটতে আরও দু-তিনদিন সময় লাগবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যভিত্তিক কমিটি তৈরি করছে আরবিআই।
নোট আকালের পরিস্থিতিতে আশ্বস্ত করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ট্যুইট করে বলেন, ‘পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ প্রয়োজনের থেকে বেশি নোট বাজারে ৷ হঠাৎ চাহিদাতেই সাময়িক নোট সঙ্কট ৷ কয়েকটি জায়গায় নোটের সঙ্কট ৷ দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে৷’
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাদ চৌহান এটিএম-এ নোটের আকালের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন ৷ তাঁর অভিযোগ বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নিচ্ছে ৷
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক আশ্বাস দিলেও সবথেকে খারাপ অবস্থা বিহারে। রাজভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের এটিএমেও টাকা নেই। সাধারণ মানুষও চরম দুর্ভোগে। পাটনা থেকে জেলাগুলিতেও একই ছবি। পরিস্থিতি বদলানোর আশ্বাস প্রশাসনের তরফে দেওয়া হলেও কবে নগদ মিলবে তা নিয়েই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। নোট বাতিলের পরিস্থিতি আবার ঘুরে আসবে না তো, সেই প্রশ্নই এখন বড় হযে দেখা দিচ্ছে।