পূর্ণিয়ার পণ্ডিত মনোৎপল ঝা বলেন, এই বছর ১৯ মে শনি জয়ন্তী উৎসব পালিত হবে। আবার একই সঙ্গে পালিত হবে বট সাবিত্রী উৎসবও। একই দিনে এই দুই তিথি পালিত হওয়াকে খুবই শুভ বলে মনে করছেন পণ্ডিত। এই দিনে কিছু আচার পালন করতে পারলে যাবতীয় মনোবাসনা পূরণ হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আজ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, News18 Bangla-র ওয়েবসাইটে এক ক্লিকে দেখুন রেজাল্ট
সময়সূচি:
পন্ডিত মনোৎপল ঝা বলেন, শনিদেব হলেন সূর্য পুত্র। তাঁকে পুজো করলেই সকল দেবতার আরাধনা করা হয় বলে মনে করা হয়। ১৯ মে ২০২৩ তারিখে শনিদেবের জন্মতিথি পালিত হবে। এবছর শনি জয়ন্তী শুরু হবে ১৮ মে সন্ধ্যা ৭টায়। পরদিন ১৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেষ হবে সেই তিথি। জৈষ্ঠ্যমাসের অমাবস্যায় পালিত হয় শনিজয়ন্তী। ঘটনাচক্রে এবছর সাবিত্রী পুজোও একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ খোঁজ মিলল পিয়ালি বসাকের, ৭৮০০ মিটার উচ্চতায় উদ্ধার, হারিয়েছেন নড়াচড়ার ক্ষমতা
দণ্ডাধীশ শনিদেব:
শনিদেবও ন্যায়দণ্ডের অধিপতিও বলা হয়। তিনিই পারেন রাজাকে ফকির করে দিতে। কর্ম অনুযায়ী ফল দিয়ে থাকেন তিনি। তাই ন্যায়প্রিয় দেবতা বলা হয় শনিদেবকে।
শনির দুই দশা, সময় অনুযায়ী পরিস্থিতি পরিবর্তন:
শনির দশা দু’রকম হয়ে থাকে— ঢাইয়া এবং সাড়ে সাতি। ঢাইয়ার কার্যকাল বজায় থাকে আড়াই বছর। সাড়ে সাতি চলে সাড়ে সাত বছর। পণ্ডিত মনোৎপল ঝা বলেন, শনি যখন লগ্ন কুণ্ডলীর দ্বাদশ ঘরে প্রবেশ করেন, তখনই শনির সাড়ে সাতি শুরু হয়। আর যদি তিনি লগ্ন কুণ্ডলীর চতুর্থ ও অষ্টম ঘরে প্রবেশ করেন, তাহলে শনির ঢাইয়া শুরু হয়।
প্রতিকার:
শনিদেবকে খুশি করতে হলে প্রথমে তাঁর প্রিয় মন্ত্র জপ করতে হবে— ‘ওম শন শনৈশ্চরায় নমঃ’। মনে করা হয় শনিদেবের পরম বন্ধু বজরঙ্গবলী। তাই শনি ও মঙ্গলবার বজরঙ্গবলী মন্দিরে দুটি প্রদীপ জ্বালাতে হয়।
সেই সঙ্গে শনিবার শনি মন্দিরে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালানো ভাল। পণ্ডিত মনোৎপল ঝা বলেন, শনি জয়ন্তীতে দান করতে চাইলে কালো কাপড় দান করতে হবে, অথবা কম্বল দান করা যায়। এটি অত্যন্ত শুভ এবং ফলদায়ক। এর ফলে শনি মহারাজের আশীর্বাদ পাওয়া যেতে পারে।