হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিতে বাস্তুশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যদি বাস্তু অনুসারে বাড়ি, অফিস বা কর্মক্ষেত্র তৈরি না হয় তবে সেখানে নেতিবাচক শক্তি বিরাজ করে। বাস্তু অনুসারে করা যে কোনও স্থানে কাজ সফল হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কোনও ব্যক্তি যদি বাস্তু অনুসারে কাজ না করে তবে বাড়িতে সমস্যা, রোগ, ব্যাধি এবং দারিদ্র্য ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: আসানসোল-পুরী বন্দে ভারত ট্রেন পাচ্ছে বাংলা! ভাইরাল খবর সত্য না মিথ্যা? জানুন
কখনোই আমাদের পার্স বা লকার সম্পূর্ণরূপে খালি রাখা উচিত নয়। এটি করার ফলে বাস্তু ত্রুটি হয়। এমনকি যদি পার্সে নিরাপদে একটি কয়েনও রেখে দেওয়া হয়, সেটিও ভাল কিন্তু পার্স পুরোপুরি খালি করা উচিত নয়। আলমারিতে লাল কাপড়ে মোড়া কড়ি, গোমতী চক্র ও শঙ্খ রাখলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
বাস্তুশাস্ত্রে পুজোর পর জলের পাত্র খালি রাখা অশুভ বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় এতে ভগবান তৃষ্ণার্ত থাকেন এবং আমাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব প্রদান করেন। একটি পাত্রে দুই ফোঁটা গঙ্গাজল ও তুলসীর জল যোগ করলে ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও সম্পদ বৃদ্ধি পায়। .
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, স্নানাগার এবং রান্নাঘরে খালি জলের পাত্র রাখা ঠিক নয়। এটি কেবল ঘরে নেতিবাচক শক্তিই নিয়ে আসে তা নয়, কাজের ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করে। অতএব, হয় জলের পাত্রগুলি পূর্ণ রাখা উচিত নয়তো তা অর্ধেক পূরণ করে রাখা উচিত।
রান্নাঘরে মাতা অন্নপূর্ণার বাস। সেখানে একটি ছোট স্থান তৈরি করে খাদ্যশস্য রাকাহ উচিত। আজকাল দোকান থেকে প্রয়োজনমতো খাদ্যশস্যও আনা হয়। এমতাবস্থায় মা অন্নপূর্ণা ক্রুদ্ধ হন।
এই বাস্তু টোটকা সকল মানুষেরই জীবনে গ্রহণ করা উচিত, এর ফলে আমাদের জীবন সুখের সঙ্গে কাটবে এবং ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি, ধন ও শস্যের অভাব হবে না।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F