এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ (Panchang) হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৩০ নভেম্বরের কিছুটা পড়েছে ২০৭৮ বিক্রম সম্বতের অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে। রাজা বিক্রমাদিত্য যে বছর গণনার রীতি প্রবর্তন করেছিলেন, সেই বিক্রম সম্বত অনুসারে এই পঞ্জিকা নির্ধারণ করা হয়ে হয়েছে। বার হল মঙ্গল এবং এই একাদশী তিথি থাকবে ১ ডিসেম্বর রাত ২টো ১৪ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের দ্বাদশী তিথি।
advertisement
অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের এই একাদশী তিথি শ্রীবিষ্ণুর উদ্দেশে নিবেদিত, এদিন তাঁর সন্তোষ বিধানার্থে উদযাপিত হবে উৎপন্না একাদশী ব্রত।
পঞ্জিকা মতে আজ সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৬টা ৫৪ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৩৬ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৩০ নভেম্বর রাত ২টো ২১ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৩০ নভেম্বর দুপুর ২টো ৪৩ মিনিটে।
আরও পড়ুন - Viral Video: নিজে জানাননি, কিন্তু ‘এই’ সুন্দরী ফাঁস করলেন Shardul Thakur Engagement-র ভিডিও
এই ২০৭৮ বিক্রম সম্বতের অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথির নক্ষত্র হল হস্তা। ৩০ নভেম্বর, রাত ৮টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত হস্তা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পর তিথিতে অবস্থান করবে চিত্রা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবে বৃশ্চিক রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে কন্যা রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- ৩০ নভেম্বর অভিজিৎ মুহূর্ত শুরু হচ্ছে সকাল ১১টা ৫৪ মিনিট থেকে, শেষ হচ্ছে দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে। অমৃতযোগ ৩০ নভেম্বর শুরু হচ্ছে দুপুর ২টো ৫১ মিনিট থেকে, শেষ হচ্ছে বিকেল ৪টে ২২ মিনিটে। এই অভিজিৎ মুহূর্ত এবং অমৃতকালকে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- পঞ্জিকা মতে ৩০ নভেম্বর রাহুকাল শুরু হচ্ছে দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে, শেষ হচ্ছে বিকেল ৪টে ১৬ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।