প্রাথমিক ভাবে দুটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সুপ্রাচীন কাল থেকেই বেজি আর্থিক সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। ধনদেবতা কুবেরের বাহন রূপে তাই এই প্রাণী নিজের স্থান করে নিয়েছে। আবার, মহাভারতের আশ্বমেধিক পর্বে উল্লেখ রয়েছে এমন এক বেজির যার শরীরের অর্ধাংশ রূপান্তরিত হয়েছিল সোনায়।
আরও পড়ুন: জীবনে নেমে আসবে ঘোর অন্ধকার! পা ঝুলিয়ে বসে এই কাজটি করেন না তো? শুধরে ফেলুন আজই
advertisement
ফলে, বুঝে নিতে অসুবিধা নেই, এই বেজি আমাদের জীবনে মাতা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বহন করে নিয়ে আসে। পণ্ডিত বিজয় পাণ্ড্যের বিবৃতিতেও মিলছে এর সাক্ষ্য। প্রমাণ হিসাবে তিনি উপস্থাপিত করেছেন বাস্তুশাস্ত্রের ‘বাস্তু এবং জীব’ অধ্যায়ের কথা- সেখানে বেজিকে গুপ্তধনের প্রতীক রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। শুধু বাস্তুশাস্ত্রই নয়, এই মতকে সমর্থন করে আরও নানা ভারতীয় শাস্ত্র।
তাই বিশ্বাস করা হয় যে বেজির এক ঝলক রাতারাতি আমাদের ভাগ্য বদলে দিতে পারে, জীবনে নিয়ে আসতে পারে। এমনকী, স্বপ্নেও বেজি দেখলে মনে করা হয় যে জীবনে সমৃদ্ধি আসতে চলেছে, দূর হতে চলেছে অর্থকষ্টের দিন। যে কারণে এক সময়ে গৃহে বেজি রাখার নিয়ম ছিল। সে সাপের হাত থেকে গৃহবাসীকে সুরক্ষিত তো রাখতই, সর্বোপরি জনপ্রিয় ছিল প্রভুভক্তির জন্যও। বলা হয়, প্রভু কষ্টে থাকলে বেজি তা সহ্য করতে না পেরে প্রাণত্যাগ করে।
অতএব, গৃহে বেজি থাকলে সে যে আমাদের কষ্টে থাকতে দেবে না- তা প্রমাণিত সত্য। তবে বর্তমানে বেজি পোষা বন্যপ্রাণ আইনের আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই পণ্ডিতজি গৃহের দক্ষিণ দিকে একটি সোনালি রঙের বেজির মূর্তি রাখার নিদান দিচ্ছেন। প্রতিদিন প্রাতে এর দর্শনে অর্থভাগ্য প্রসন্ন হবে আমাদের।
পণ্ডিতজি এও জানাচ্ছেন যে বেজিকে সূর্যের প্রতীক বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। সর্ব দিক থেকে শুভ এই প্রাণীর মূর্তির অবস্থান তাই বাস্তুমতে অতীব লাভদায়ক।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)