একই মাসে দু’টি গ্রহণ খুব কমই দেখা যায়। ১৫ দিনের ব্যবধানে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ প্রায় বিরল। ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর ঘটবে সূর্যগ্রহণ, ওই দিনই মহালয়া। ভারতীয় সময় রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে শুরু হবে গ্রহণ, চলবে রাত ২টো ২৪ মিনিট পর্যন্ত। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ভারত থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। তাই প্রভাবও তেমন পড়বে না। ২৮-২৯ অক্টোবর হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।
advertisement
সূতককালের প্রভাব—
বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ ভারতীয় সময় অনুযায়ী ১৪ অক্টোবর রাতে ঘটবে। অর্থাৎ, সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হবে না এই দেশ থেকে। তাই তার কোনও প্রভাবও পড়বে না। সূর্যগ্রহণে সূতককাল গ্রহণ লাগার ১২ ঘণ্টা আগে শুরু হয়। ওই সময়কালে কোনও শুভকাজ করা যায় না। কিন্তু এবার তা হবে না, কারণ সূতককাল এই দেশে প্রযোজ্য নয়।
আরও পড়ুন: কন্যা রাশিতে গোচর সূর্যের, পৃথিবীর আরও কাছে চাঁদ! কেমন প্রভাব পড়বে দিনরাতে, জানুন
কোথায় পড়বে প্রভাব—
২০২৩ সালের দ্বিতীয় এবং শেষ সূর্যগ্রহণের সূতক কালের কোনও প্রভাব থাকবে না ভারতে। কারণ বছরের এই দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না এই দেশে। তবে উত্তর আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, কিউবা, বার্বাডোস, পেরু, উরুগুয়ে, অ্যান্টিগুয়া, ভেনিজুয়েলা, জ্যামাইকা, হাইতি, প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল, ডোমিনিকা, দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলগ, বাহামায় দেখা যাবে। সূতককালের প্রভাবও পড়বে সেখানে।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে বিরাট খবর! বহু সরকারি কর্মী-অফিসারের ছুটি বাতিল! বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
সূর্যগ্রহণ কেন হচ্ছে—
ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণকে অশুভ বলে মনে করা হয়। পুরাণের নানা ব্যাখ্যাও রয়েছে এই সংক্রান্ত। মনে করা হয় এই সময় পৃথিবীতে নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই গ্রহণ শুরুর ১২ ঘন্টা আগে থেকে দেশের সমস্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থগিত রাখা হয় শুভ কাজ।
কিন্তু ঘটনা হল, সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ নিতান্তই একটি মহাজাগতিক ঘটনা। পৃথিবী ও সূর্য-চন্দ্রের অবস্থানের কারণে এমন ঘটনা ঘটে। ঘটবেই। তার সঙ্গে শুভ বা অশুভের কোনও প্রভাব থাকার কথা নয়।
