শাস্ত্রে এই গণেশ চতুর্থীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শ্রীগণেশ দেবতাদের মধ্যে প্রথমপূজ্য, তাঁর কৃপাতেই সব রকমের সিদ্ধি এবং জাগতিক ঋদ্ধির অধিকারী হতে পারেন ভক্তেরা। এই আষাঢ় মাসে পঞ্জিকা অনুসারে তৃতীয়া তিথি বিদ্যমান ছিল ১৩ জুলাই সকাল ৮টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে গিয়েছে শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি। এই চতুর্থী তিথি থাকবে ১৪ জুলাই সকাল ৮টা ০২ মিনিট পর্যন্ত।
advertisement
সেই হিসেবে দেখলে ১৪ জুলাই সকাল ৮টা ০২ মিনিট পর্যন্ত শ্রীগণেশের আরাধনার সময় পাওয়া যাচ্ছে, এই পুরো সময়কালটাই বিবেচনা করা হবে বরদ বিনায়ক চতুর্থী রূপে। কিন্তু শাস্ত্রমতে মধ্যাহ্নকালে সিদ্ধিদাতাকে অর্ঘ্য নিবেদন করলে সর্বাধিক সুফল লাভ করবেন ভক্তেরা। তাই পূজা শেষ করতে হবে ১৩ জুলাই সকাল ১১টা ২৫ মিনিট থেকে ১৪ জুলাই দুপুর ২টো ১৫ মিনিটের মধ্যে।
পূজাপদ্ধতি:
১. শুদ্ধ জলে শ্রী গণেশের অভিষেক সম্পন্ন করে তাঁকে নতুন বস্ত্রে সাজিয়ে কপালে সিঁদুরের টিকা দিতে হবে।
২. দূর্বা অর্পণ করে ধূপ জ্বেলে দিতে হবে।
৩. ওম গং গণপতয়ে নমঃ- এই বীজমন্ত্র জপ করতে হবে।
৪. নৈবেদ্যে দিতে হবে ২১টি মোদক বা লাড্ডু।
৫. আরতি অন্তে পূজা সমাপন করা বিধেয়।