বুধ এবং শনি শুক্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকেন। অন্য দিকে, সূর্য এবং চন্দ্র গ্রহের সঙ্গে এর শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক। শুক্রের সঙ্গে যে কোনও গ্রহ দুর্বল অবস্থায় থাকে। ফলে বন্ধুত্বপূর্ণ কোনও গ্রহের সঙ্গে মিলিত হলে শুক্রের প্রভাব বা ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনিই অন্য দিকে শত্রুতাপূর্ণ গ্রহের সঙ্গে মিলিত হলে এর প্রভাব খারাপ হয়। নক্ষত্রমণ্ডলীতে শুক্র গ্রহ ভরণী, পূর্বফাল্গুনী এবং পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্রের অধিপতি।
advertisement
শুভ প্রভাব
শুক্র যখন কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে দ্বিতীয়, তৃতীয়, সপ্তম এবং দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করেন, তখন তিনি শক্তিশালী হয়ে ভাল ফল দেয়। বিপরীতে, যদি এটি ষষ্ঠ বা অষ্টম ঘরে থাকে তবে তা দুর্বল ফল দেয় এবং এর নেতিবাচক প্রভাব জাতক-জাতিকাদের জীবনে পড়ে। কুণ্ডলীর অন্যান্য ঘরে এর প্রভাব সাধারণ মানের অনুভূত হয়। শুক্রের শুভ প্রভাবে ব্যক্তি জীবনে পার্থিব সুখ লাভ করেন, জীবনে খ্যাতি অর্জন করেন এবং তাঁর মধ্যে শৈল্পিক প্রতিভা বিকাশ লাভ করে। এর প্রভাবে ব্যক্তিত্বে একটি প্রবল আকর্ষণ থাকে যা বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিকে জাতক-জাতিকাদের প্রতি আকৃষ্ট করে।
অশুভ প্রভাব
শুক্রের শুভ প্রভাবে মানুষের যৌন জীবন সুখের হয়। কিন্তু কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে শুক্র গ্রহ দুর্বল বা পীড়িত অবস্থানে থাকলে তার অশুভ প্রভাব ব্যক্তির জীবনে পড়ে। এর ফলে মুখে ব্রণ, পুরুষত্বহীনতা, বদহজম, ক্ষুধামান্দ্য ও ত্বকের সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন- গুয়াহাটিতে গণ্ডগোল ! কুকুর-বিড়াল নয়, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে মাঠে ঢুকে পড়ল সাপ !
কীভাবে শুক্রের অশুভ প্রতিক্রিয়া এড়ানো সম্ভব?
জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকারের মাধ্যমে শুধু শুক্র গ্রহের কুপ্রভাব এড়ানো যায় এমনটা নয়, এই প্রতিকারের মাধ্যমে শুক্রের অবস্থানকেও শক্তিশালী করা যায়। শুক্র গ্রহের শান্তির জন্য শুক্র যন্ত্রকে সম্পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান করে পূজা করলে শুক্র গ্রহ শক্তিশালী হয়। এর সঙ্গে জাতক-জাতিকারা আমেরিকান ডায়মন্ড ধারণ করতে পারেন। এ ছাড়া ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ, তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ বা রেড়ির মূল পরিধান করলে ব্যক্তি শুক্রের শুভ প্রভাব লাভ করতে পারবেন। এর সাহায্যে শুক্রের অবস্থান শক্তিশালী করে ব্যক্তি জীবনে সুখী হতে পারেন।