এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৪ অক্টোবরের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ২৭ আশ্বিন। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শুক্র এবং এই পঞ্চমী তিথি থাকবে ১৫ অক্টোবর ভোর ৪টে ২৬ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন - স্কুলে ওটা মস্ত বড় কী! গোখরো পাওয়া গেল শিশু বিকাশ কেন্দ্র থেকে
আরও পড়ুন: রেহাই নেই বৃষ্টির থেকে, আগামী ৩-৪ দিনের আবহাওয়া নিয়ে বড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৪ অক্টোবর সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১৪ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৩ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথির নক্ষত্র হল রোহিণী। ১৪ অক্টোবর, রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত রোহিণী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে মৃগশিরা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবে কন্যা রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে বৃষ রাশিতে ১৫ অক্টোবর, সকাল ১০টা ০১ মিনিট পর্যন্ত।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৪ অক্টোবর মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ১৪ অক্টোবর পড়েছে ভোর ৫টা ৪৮ মিনিট - ভোর ৬টা ৩৪ মিনিট, সকাল ৭টা ২০ মিনিট - সকাল ৯টা ৩৯ মিনিট, সকাল ১১টা ৫৭ মিনিট - দুপুর ৩টে ০২ মিনিট, দুপুর ৩টে ৪৮ মিনিট - বিকাল ৫টা ২০ মিনিট, সন্ধে ৬টা ১০ মিনিট - রাত ৯টা ২৯ মিনিটে পাঁচ সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৪ অক্টোবর রাহুকাল বা কালবেলা শুরু হচ্ছে সকাল ১০টা ০৭ মিনিটে, শেষ হচ্ছে সকাল ১১টা ৩৪ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
