চলতি বর্ষে শ্রাবণ মাস মল মাস হওয়ায় পূজোর মুখেই সমস্যায় পড়েছেন উদ্যোক্তারা। কারণ সংকল্পযুক্ত যেকোনো ধরনের পূজার্চনা করা যায় না মল মাসে। জ্যোতিষ শাস্ত্রের মতে, সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে হিন্দুদের বর্ষপঞ্জি তৈরি হয়। বাংলায় দুই থেকে তিন বছর অন্তর অন্তর একটি মল মাস হয়।
আরও পড়ুনঃ দৈনিক বেতন প্রায় ৪ লক্ষ টাকা! আসানসোলের এই ব্যক্তি টাটা স্টিলের ‘বাবুমশাই’, চিনে নিন তাঁকে…
advertisement
একই মাসে দু’টি অমবাস্যা তিথি পরলেও সেটিকে মলমাস বলা হয়। ‘মল’ শব্দের অর্থ অশুভ। তাই এই মাসকে বর্জিত হিসেবে হিন্দু ধর্মের কোনও পূজা বা শুভ অনুষ্ঠান যেমন বিবাহ, অন্নপ্রাশন ইত্যাদি হয় না। তবে শ্রাদ্ধ বা সপিণ্ডকরণ করা যায়। কিন্তু অপরদিকে বৈদিক কর্মকাণ্ডের জন্য এটি শুভ না হলেও পরমার্থিক কর্মকাণ্ডের জন্য এটি শুভ। এই মাসটি সমস্ত প্রকার কর্মশূন্য। তাই এই মাসটি কৃষ্ণ নাম করার জন্য উপযোগী। এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।
এ মাসে ভগবানের নাম করলে তা অধিক ফলপ্রদ হয়। তাই মলমাসকে পুরুষোত্তম মাসও বলা হয়। তাই মলমাস একদিক থেকে অশুভ হলেও অন্যদিকে শুভ। মলমাসে নারায়ণ পুজো করা হয়ে থাকে। গ্রহশান্তি, দানধ্যান, তীর্থযাত্রা ও বিষ্ণু মন্ত্রপাঠ মলমাসে করা শুভ। ফলে মলমাসের অশুভ প্রভাব খর্ব করা সম্ভব হয় এবং শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে। মনে করা হয়, মলমাসে আরাধনা করা হয় শ্রীবিষ্ণুর, তাঁর সব দুঃখ কষ্ট দূর করে মনের ইচ্ছাপূরণ করেন, এমনই মত পুরোহিতদের।
Ranjan Chanda