এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৭ মে-র কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ২ জ্যৈষ্ঠ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল বুধ এবং এই ত্রয়োদশী তিথি থাকবে ১৭ মে রাত ১০টা ২১ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি।
advertisement
১৪৩০ বঙ্গাব্দের কৃষ্ণপক্ষের এই ত্রয়োদশী তিথিতে সায়ংকালে উদযাপিত হবে প্রদোষ ব্রত। আবার যেহেতু চতুর্দশী রাত্রির অধিষ্ঠান আজকেই, তাই রাত ১০টা ২১ মিনিটের পরে উদযাপিত হবে মাসিক শিবরাত্রি ব্রত।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৭ মে সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১১ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১৭ মে রাত ৩টে ২১ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ১৭ মে বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথির নক্ষত্র হল রেবতী। ১৭ মে, সকাল ৭টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত রেবতী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে অশ্বিনী নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন বৃষ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মীন রাশিতে ১৭ মে, ২০২৩ তারিখে সকাল ৭টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত, এর পরে গমন করবেন মেষ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৭ মে মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ১৭ মে পড়েছে সকাল ৭টা ৪৮ মিনিট – সকাল ১১টা ১৮ মিনিট, দুপুর ১টা ৫৬ মিনিট – বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিট – রাত ৯টা ৫৬ মিনিট তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৭ মে রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ৮টা ২৮ মিনিট – সকাল ১০টা ০৬ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।