এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
আরও পড়ুন: দুধে লবণ যোগ করলে কী হয় জানেন…? উত্তর শুনলে চমকে যাবেন!
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৩ নভেম্বরের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ২৬ কার্তিক। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল সোম এবং এই অমাবস্যা তিথি থাকবে ১৩ নভেম্বর দুপুর ২টো ৪৩ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি।
advertisement
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৩ নভেম্বর সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ০৩ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৫টা ০১ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১৩ নভেম্বর ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ১৩ নভেম্বর বিকেল ৪টে ৫৮ মিনিটে।
আরও পড়ুন: ওষুধ ছাড়াই কমবে ইউরিক অ্যাসিড! ওজন কমাতেও ম্যাজিক! শুধু ‘এইভাবে’ খান অলৌকিক পানীয়!
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথির নক্ষত্র হল বিশাখা। ১৪ নভেম্বর, ভোর ৪টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত বিশাখা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে অনুরাধা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন তুলা রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন তুলা রাশিতে ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে রাত ৯টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত, এর পরে গমন করবেন বৃশ্চিক রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৩ নভেম্বর মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ১৩ নভেম্বর পড়েছে সকাল ৬টা ০৩ মিনিট – সকাল ৭টা ৩১ মিনিট, সকাল ৮টা ৫৯ মিনিট – সকাল ১১টা ১০ মিনিট, সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিট – রাত ১১টা ০৬ মিনিট তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৩ নভেম্বর রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ৭টা ২৫ মিনিট – সকাল ৮টা ৪৮ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।