এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৫ জুলাইয়ের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৩০ আষাঢ়। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শুক্র এবং এই দ্বিতীয়া তিথি থাকবে ১৫ জুলাই সন্ধে ৭টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন: শহিদ দিবসে বড় পরিকল্পনা তৃণমূলের, ধর্মতলা ভরিয়ে দিতে অস্ত্র 'বাংলার মেয়ে'রা!
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৫ জুলাই সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধে ৬টা ৩২ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১৫ জুলাই রাত ৮টা ২৩ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ১৬ জুলাই সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির নক্ষত্র হল শ্রবণা। ১৫ জুলাই, রাত ৯টা ০৭ মিনিট পর্যন্ত শ্রবণা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পর তিথিতে অবস্থান করবে ধনিষ্ঠা নক্ষত্র।
আরও পড়ুন: ফের বিদ্রোহের সুর, বিজেপি বিধায়কের অফিসে তালা ঝোলালেন দলের কর্মীরা!
সূর্য অবস্থান করবে মিথুন রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে মকর রাশিতে ১৬ জুলাই, ভোর ৪টে ১৭ মিনিট পর্যন্ত; এর পরে গমন করবে কুম্ভ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৫ জুলাই মাহেন্দ্রযোগ পড়ছে ভোর ৬টা ০৯ মিনিট- সকাল ৭টা ০২ মিনিট, সকাল ৯টা ৪১ মিনিট-সকাল ১০টা ৩৪ মিনিটে দুই সময়ে। অমৃতযোগ ১৫ জুলাই আছে দুপুর ১২টা ২০ মিনিট- দুপুর ২টো ৫৯ মিনিট, সন্ধে ৬টা ৩২ মিনিট- সন্ধে ৮টা ৪১ মিনিটে দুই সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৫ জুলাই রাহুকাল বা কালবেলা শুরু হচ্ছে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে, শেষ হচ্ছে সকাল ১১টা ৫৪ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।