এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
আরও পড়ুন: থলথলে হাত নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন? ১৫ মিনিটে সুডৌল বাহু পেতে পারেন বাড়িতেই! জানুন
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৩ জানুয়ারির কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১৮ পৌষ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল মঙ্গল এবং এই দ্বাদশী তিথি থাকবে ৩ জানুয়ারি রাত ১১টা ০২ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন: মলের সঙ্গে রক্ত বেরোচ্ছে! বছর শুরুতেই সাবধান, উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে!
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে উদযাপিত হবে কূর্ম দ্বাদশী ব্রত।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৩ জানুয়ারি সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৩৩ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৩ জানুয়ারি দুপুর ২টো ২০ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ৪ জানুয়ারি ভোর ৪টে ১১ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথির নক্ষত্র হল কৃত্তিকা। ৩ জানুয়ারি, সন্ধ্যা ৬টা ০৬ মিনিট পর্যন্ত কৃত্তিকা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে রোহিণী নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন ধনু রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন বৃষ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৩ জানুয়ারি মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ৩ জানুয়ারি পড়েছে ভোর ৬টা ৩৩ মিনিট - ভোর ৭টা ১৫ মিনিট, সকাল ৭টা ৫৮ মিনিট - সকাল ১১টা ৩১ মিনিট, সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিট - রাত ৮টা ৪৬ মিনিট তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৩ জানুয়ারি রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে দুপুর ১টা ১২ মিনিট - দুপুর ২টো ৩২ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
