এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
আরও পড়ুন: যখন তখন জ্বর-কাশির সমস্যায় ভোগেন? বাড়িতে টবে এই গাছ লাগান, নিমেষে হবে সমাধান
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২০ জুলাইয়ের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৩ শ্রাবণ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল বৃহস্পতি এবং এই তৃতীয়া তিথি থাকবে ২১ জুলাই ভোর ৪টে ২৭ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন: ছায়া দেখলে ভয় পান? মনে হয় মরে যাবেন? অনেকেই এই মারাত্মক রোগে ভুগছেন! জানুন
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২০ জুলাই সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১৮ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২০ জুলাই সকাল ৭টা ১১ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২০ জুলাই রাত ৮টা ৩৩ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথির নক্ষত্র হল অশ্লেষা। ২০ জুলাই, সকাল ৯টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত অশ্লেষা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে মঘা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন কর্কট রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন কর্কট রাশিতে ২০ জুলাই, ২০২৩ তারিখ সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত, এর পরে গমন করবেন সিংহ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২০ জুলাই মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে ভোর ৫টা ১৮ মিনিট – সকাল ৭টা ০৪ মিনিট, সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট – দুপুর ১টা ১৪ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ২০ জুলাই পড়েনি। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২০ জুলাই রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে দুপুর ৩টে ১২ মিনিট – বিকেল ৪টে ৫১ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
