এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৫ মার্চের কিছুটা পড়েছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১০ চৈত্র। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শনি এবং এই চতুর্থী তিথি থাকবে ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা ০৪ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন - Cow Milk: টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে এবারে দেশি গরুর প্রজাতি জন্মাবে, মিলবে প্রচুর ও উন্নত মানের দুধ, খরচ জানুন
চৈত্র মাসের এই শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি চৈত্র নবরাত্রির অন্তর্গত। এই তিথিতে পূজিতা হবেন দেবী কুষ্মাণ্ডা। এর পাশাপাশি শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে চতুর্থী ব্রত উদযাপিত হবে।
আরও পড়ুন - Sourav Ganguly On Rest: আইপিএলের পর শুধুই বিশ্রাম! টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ধারাভাষ্যে ‘না’ দাদা-র
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৫ মার্চ সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৫২ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকাল ৫টা ৫৭ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৫ মার্চ সকাল ৮টা ০৮ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২৫ মার্চ রাত ৯টা ৪৩ মিনিটে।
এই ১৪২৯ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথির নক্ষত্র হল ভরণী। ২৫ মার্চ, দুপুর ৩টে ৫৬ মিনিট পর্যন্ত ভরণী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে কৃত্তিকা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন মীন রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন মেষ রাশিতে ২৫ মার্চ, সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত; এর পরে গমন করবেন বৃষ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৫ মার্চ মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ২৫ মার্চ পড়েছে সকাল ৯টা ৫৩ মিনিট - দুপুর ১টা ০৭ মিনিট, রাত ৮টা ২০ মিনিট - রাত ১০টা ৪২ মিনিট দুই সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৫ মার্চ রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে পড়েছে ভোর ৫টা ৫২ মিনিট - সকাল ৭টা ২২ মিনিট, বিকাল ৪টে ২৬ মিনিট - বিকাল ৫টা ৫৭ মিনিট দুই সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।